ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘দুর্নীতি ধারণা সূচক’ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশে দুর্নীতি বেশি, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবনে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বার্লিনভিত্তিক এনজিও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত ২০২০ সালের ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)’ বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশ করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সূচকে আগের বছরের তুলনায় আরও দুই ধাপ নিচে নেমে এসেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় সর্বনিম্ন দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। এই হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় দুর্নীতিতে বাংলাদেশ দুই ধাপ নিচে নেমেছে। আগের বছর অবস্থান ছিল ১৪তম। এবার তালিকায় পাকিস্তান আছে ১৭ নম্বরে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য এনজিও’র মতো টিআই তাদের সংস্থা পরিচালনার জন্য যারা অর্থ যোগান দেয় তাদের স্বার্থ দেখে। আর তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশে দুর্নীতি বেশি, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।’
টিআই’র প্রতিবেদনটি আমি দেখেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আগের স্থানেই আছে কিন্তু অন্যদের স্কোর ভালো হওয়ায় তাদের মতে দুই ধাপ নিচে নেমেছে। তবে, বাংলাদেশের অবস্থান আসলে নিচে নেমেছে, না তাদের পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে এটি হয়েছে, সেটিও একটি বিষয়। কারণ তাদের পদ্ধতিগত নানা ত্রুটির কথা আমাদের জানা।’
ড. হাছান বলেন, ‘টিআই একটি এনজিও। এর প্রতিবেদন আমাদের দেশে যেভাবে প্রচার হয়, পাশের দেশেও এতো গুরুত্ব দিয়ে তা ছাপা হয় না। অন্যান্য এনজিও যেভাবে চলে, তারাও সেভাবে দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে চলে এবং ফান্ডদাতাদের স্বার্থও টিআই’কে সংরক্ষণ করতে হয়।’