English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে বিএনপিকে তওবা করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

- Advertisements -

দেশের রাস্তা ঘাট, বহুতল ভবন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, যুমনা সেতুর রেল সংযোগ, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমদ্র বন্দর, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শহর গ্রামে সরকারের বিপুল উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকাল বিএনপি অনেক কথা বলে। আসলে বিএনপির মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে।কারণ দীর্ঘ দিন তারা রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। নয়াপল্টনের অফিসে বসে প্রতিদিন ঘণ্টায় বাজায়। রিজভী সাহেব ঘণ্টায় বাজায় আর বলে আওয়ামী লীগের বিদায়ী ঘণ্টা বেজে গেছে। কিন্তু তাতে কেউ সাড়া দেয় না। এমন কী তাদের কর্মীরাও সাড়া দেয় না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে পদ্মা সেতু হবে না। আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবে না। অথচ পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। গত পহেলা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর এপার থেকে ওপার গেছেন। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা।

পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে বিএনপিকে তওবা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমি অপেক্ষা করছি, কখন এই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেব কখন যায়। অপেক্ষা করছি, কখন তাঁরা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যায়, নাকি পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার চড়ে পার হয়। এটা এখন দেখার পালা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার যে উন্নয়ন করছে তাতে কোনো ভোট অন্য বাক্সে এ যাবার কথা নয়। যদি যায়, তাহলে বুঝাতে হবে আমাদের নেতাকর্মীর আচারণের কারণে গেছে। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে জায়গা দখল, মাদক সিন্ডিকেট করছে তাদের দল থেকে ছিন্ন করতে হবে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের এত অর্জন কয়েকজনের নেতাকর্মী আর কয়েকজনের অপর্কমের জন্য ঢাকা পড়তে পারে না। আর সবাইকে নৌকায় নেওয়ার দরকার নাই। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এখন সবাই স্বার্থের জন্য নৌকায় উঠতে চায়।

দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী কমিটির সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীম ও নূরুল ইসলাম ঠান্ডু। সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা।

বক্তব্যে রাখেন দুর্গাপুর পুঠিয়া আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, পবা মোহনপুরের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্ট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুপুর ৩টায় মহিলা ডিগ্রি কলেজ সভা কক্ষে শুরু হয় কাউন্সিলর ও সম্মেলনে পদ প্রার্থীরদের সমঝোতা।

এক পর্যায়ে সমঝোতা না হয়ে ভোটা ভোটির প্রস্তাব করা হয় বৈঠকে। পরে সেই বৈঠক থেকে কেন্দ্রের নেতারা বের হয়ে জেলায় চলে যান। পরে সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার তার ফেসবুকে প্রচার করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে ঠাই পাওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম। উপজেলা আওয়ামীলগের সভাপতি নির্বাচীত হয়েছেন দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজ, আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক।

সম্মেলনের শুরুতেই জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন