জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এতে নয়াপল্টন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার (২ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকেই বিএনপির দলীয় কার্যালয় ফকিরাপুল ও নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকায় বিএনপি শত শত নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তবে, রায় ঘোষণা পর তা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, রায় ঘিরে বিএনপি যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
এর আগে, সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। তবে, রায় ঘোষণার পরপরই আদালতের সামনে বিক্ষোভ ও জুতা মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
এসময় আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরাও বিক্ষোভ-মিছিল করেন। এতে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রায় নিয়ে কথা বলবেন। আসতে পারে নতুন কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর এবং জোবায়দার তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তারেকের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হলেও ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান।