English

22 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

দেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ: ওবায়দুল কাদের

- Advertisements -

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ। অন্যদিকে, বিএনপি’র জন্ম হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে।

আজ রবিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এ বিবৃতি প্রদান করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

তিনি বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে পবিত্র সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের সুরক্ষা দিয়েছিল।

‘আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসাথে যায় না’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। ’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের আড়ালে মুখোশধারী স্বৈরাচারদের হাত থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের যেকোন রাজনৈতিক দলের চেয়ে আওয়ামী লীগ আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচন বিমুখ একটি দল কিভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? গণতান্ত্রিক চর্চায় সর্বদাই বিএনপির এক ধরনের অনীহা রয়েছে। এমনকি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও মহান জাতীয় সংসদে যাওয়া নিয়ে বিএনপি দ্বিধাগ্রস্ত।

তিনি বলেন, একদিকে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও সংসদে অংশগ্রহণ করেনি, অন্যদিকে সংসদে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এ ধরনের দ্বিধাগ্রস্ত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের কল্যাণ করার সক্ষমতা রাখে না; এটা প্রমাণিত।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে নিলর্জ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তাদের ডজন খানেক নেতা টেলিভিশনে মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে অবাধ বাক-স্বাধীনতা ভোগ করছে। তারপরও তাদের নাকি বাক-স্বাধীনতা নেই! গণমাধ্যমের নাকি স্বাধীনতা নেই! এ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, বিএনপি’র কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে হলো- ভিত্তিহীন ও দূরভিসন্ধিমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের সহায়ক ভূমিকা পালন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন