শুক্রবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের মাটির উপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপন পরিকল্পনার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদে সমাবেশ হয়।
দুপুর ২টায় দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি রওনা হবেন। দিল্লির হায়দ্রবাদ হাউজে শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক রয়েছে।
‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন’
ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বলা শুরু করেছে, ভারত তুমি বন্ধু থাকো।
কিন্তু বন্ধু বলে আজকে আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়ে যাবে, আমার ন্যায্য পানির হিৎসা থেকে আমাদের বঞ্চিত করবে…. বাংলাদেশের জনগণ গরীব হতে পারে কিন্তু আমাদের আত্মমর্যাদা অনেক বড়। তাই আপনাদের (ভারত) জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিৎসা আপনাকে দিতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণ করবেন আর সেই রেলে করে ক্যান্সারের নমুনা পাওয়া এমন সব পণ্য সামগ্রী অন্য প্রান্তে নিয়ে যাবেন, তা কখনো বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবেন না। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, একাত্তর সালে আমরা হাফ প্যান্ট পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি… রাওয়াল পিণ্ডির পিঞ্জির ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি… তাই বলে আবার আমরা দিল্লির আগ্রাসন মেনে নেব, বাংলাদেশের মানুষ তা কখনো জীবন থাকতে গ্রহণ করবে না। আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শরিক হই।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজকে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, এই সরকারের সৃষ্টি। আপনারা (সরকার) দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, মানুষ দুই পেটভরে খাবারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। আপনি এমন এক বাজেট ঘোষণা করেছেন, যেখানে আমি আমার উপার্জিত অর্থের কর দেব আর যারা কোটি কোটি টাকা ডলার চুরি করে ১৯ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ্যতা আনবে, তাদের আমাদের সঙ্গে সমান করে দিয়েছেন।
তাই এই সরকার লুটেরাদের সরকার, দুর্নীতিবাজদের সরকার। এই ভারতীয় প্রীতি সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয়বাদী নাগরিক পরিষদকে আমি আহ্বান জানাবো, আমাদের জীবন থাকতেও তাদের এসব অন্যায়-অত্যাচার গ্রহণ করা হবে না।
‘আজিজ-বেনজীর-আসাদুজ্জামান এখন কোথায়’
ফারুক বলেন, আমরা বলতে চাই, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখতে পারেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের ব্যর্থ হয় নাই। কিছু সংখ্যক আমলা, কিছু সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা, যারা বাংলাদেশে আজকে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলকে দমন করার কাজে নিয়োজিত। তার প্রমাণ আজিজ, বেনজীর ও আসাদুজ্জামান মিয়া। এই আজিজ-বেনজীর-আসাদুজ্জামান মিয়া আপনারা এখন কোথায়?
জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদারের সভাপতিত্বে ও মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এইচএম সাইফ আলী খান, আকম মোজাম্মেল, শাহ নেছারুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের ভিপি ইবব্রাহিম ও উলামা দলের কাজী আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।