ঢাকা-১৪, সিলেট-৩ ও কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তারিখ অনুযায়ী এই তিন সংসদীয় আসনে ২৮ জুলাই ভোট হবে। আগামী ১৪ জুলাই এসব আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী ওই দিন হওয়ায় নির্বাচন পেছানো হলো। তবে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ২১ জুনই ভোট হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের ৮২তম সভা শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এসব আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৫ জুন (মঙ্গলবার)। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ জুন (বৃহস্পতিবার)। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ জুন (বুধবার)। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২৪ জুন (বৃহস্পতিবার)। ভোটের তারিখ পরিবর্তন হলেও এসব দিনক্ষণের কোনো পরিবর্তন হবে না।
ইসি সচিব বলেন, ‘করোনার ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নির্বাচন ২১ জুন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। ওই তিন সংসদীয় আসনে ১৪ জুলাই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় ভোট পেছানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২১ জুন নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ৩৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে করোনার উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন এলাকা খুলনা বিভাগের সব ইউনিয়ন পরিষদ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত শোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট জেলায় ৬৮টি, খুলনা জেলায় ৩৪টি, সাতক্ষীরা জেলায় ২১টি, নোওয়াখালী জেলায় ১৩টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১২টি এবং কক্সবাজার জেলায় ১৫টি।’
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার আরও বলেন, ‘তফসিল ষোষিত ১১টি পৌরসভার মধ্যে দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ ও ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। অন্য ৯টি পৌরসভা করোনার উচ্চঝুঁকিসম্পন্ন এলাকায় হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ প্রদান করেছে।’
এর আগে তিনি বলেন, ‘সভায় জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে আইইডিসিআর এর করোনা বিষয়ক পত্রের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আইইডিসিআর এর করোনা সংক্রান্ত পত্র পর্যালোচনার পর নির্বাচন কমিশন এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।