দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই রকম প্রয়োগ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের কেউ সকালে এই মামলা করলে বিকেলেই খারিজ হয়ে যায়। আর বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এ আইনে মামলা হলে তা সুন্দরভাবে চলতে থাকে।
রোববার এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উদ্যোগে প্রয়াত কয়েকজন অনলাইন সংগঠকের স্মরণে এ সভা ও দোয়া মাহফিল হয়।
রিজভী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা জুলুমের আইন। এ আইনে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হলে প্রথম থেকেই তা সুন্দর প্রক্রিয়ায় চলবে। বিএনপির সেই লোককে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে, আদালতে হাজির করবে, কারাগারে পাঠাবে। তারপর জামিনের জন্য তার আইনজীবী বারবার আবেদন করবেন, কিন্তু আদালত জামিন দেবেন না। অনেক দিন পর হয়তো সে মুক্তি পাবে।’
রুহুল কবির রিজভী বর্তমান সরকারের আমলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সত্য কথা বলার জন্য’ অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর নির্যাতন-দমন নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি প্রয়াত অ্যাক্টিভিস্টদের শান্তি কামনা করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণেরও সমালোচনা করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘আজকে যে সন্তানটি জন্ম নিচ্ছে, সে ৯৮ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। ২০২২ সাল ঋণের মাইলফলক হবে।’
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সৈয়দ এমরান সালেহ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, ওয়াহিদুজ্জামান, আবদুস সালাম আজাদ।