বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের দূরত্বের তেমন কিছু নেই। তারাও গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়, মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোটে ছিলাম। ফর্মালি যুগপৎ আন্দোলনে আমরা ছিলাম না। বিএনপির কর্মসূচি ও জামায়াতের কর্মসূচি এক রকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিলেন। আগামীতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা আন্দোলনে সবাই আমরা থাকবো, তারাও (জামায়াত) থাকবে। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের দূরত্বের তেমন কিছু নেই। তারাও গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়, মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি। তবে কেউ যদি কখনো বলে শুধু তারা দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবেই।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে এ বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বেলা সোয়া ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বৈঠকে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে আলোচনা করেছি, কীভাবে জনগণের দুর্ভোগ রোধ করা যায় তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দলের, জোটের, দেশের হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনটা দ্রুত হোক। এর জন্য সংস্কার প্রয়োজন। আমরাও সংস্কার চাই। ন্যূনতম সংস্কার করে অতি দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। সংসদ নির্বাচন হলে দেশের অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। অন্যান্য সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে।