গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা খসড়া আইন-২০২২ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটি পাশ হলে দেশে নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থা আরো পাকাপোক্ত হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে কিছুই থাকবে না। আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নেরে ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইনের উদ্দেশ্য হলো কোনো মতেই যেন বাক স্বাধীনতা, ফ্রিডম অব প্রেস, ডেমোক্রেসি না থাকে, কোনো মতেই যেন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে না পারে এবং যারাই সত্যের পথে, গণতন্ত্রের পথে, জনগণের পক্ষে কথা বলবে তাদের যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেজন্য এই আইনের মধ্যে রাখা হয়েছে। এই আইন যদি পাস হয়ে যায়, পাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ সংসদে পার্লামেন্টে সদস্য যারা আছে তারা লেজুড়বৃত্তি করে, এই আইন পাস হয়ে গেলে..। আজকে দেশে পুরোপুরিভাবে একটা নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থা বিরাজ করছে। এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে সেটা পাকাপোক্ত হবে। ’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এজেড এম জাহিদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর এটিএম মাসুদ, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, আবদুল হাই শিকদার, মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাকের হোসাইন, শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মুরসালিন নোমানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।