ফখরুল বলেন, আজকে গায়ের মধ্যে আগুন লেগেছে। বাইডেন সঙ্গে সপরিবারে ছবি তুলে খুব দেখেছিল। বলেছিলেন আর আমেরিকা যাবেন না, অথচ তিনি আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতি কার্যকর করা হলো। ভিসানীতি বাংলাদেশের মতো একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য অপমানজনক। আওয়ামী লীগের জন্য তাও আমাদের দেখতে হলো বলেও মন্তব্য করেন।
কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা একটা বেআইনি সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দমন পীড়ন করছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমলারা মিটিং করে বেড়াচ্ছেন, যেকোনো মূল্যে গুম-খুন করেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এতটা মরিয়া, আওয়ামী লীগও এতটা মরিয়া না।
আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার ছেলের বিদেশে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি এদেশের জনগণের, এর জন্য আমাদের বহু কথা আছে- আপনি (শেখ হাসিনা) যেভাবে সহজে বলেছেন, দেখছেন বিষয়টা, বিষয়টা এত সহজ নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতারা বিদেশে চিকিৎসা করতে পারলে কেন খালেদা জিয়ার করতে পারবেন না? আদালতের বিচারকদের একদিন এর হিসাব দিতে হবে। আদালতও খালেদা জিয়ার সঙ্গে ন্যায়বিচার করছেন না, নির্দয় ব্যবহার করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে এ সরকার ভয় পায়। কারণ তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাই তাকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা করতে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশ্বে কতগুলো ফ্যাসিস্ট সরকার আছে, যারা দখলদারির মাধ্যমে, তাদের স্যাংশনস দেওয়া হয়। আপনাদের শুধু বিচারই হবে না, বাংলাদেশের জনগণের সামনে মুখোমুখি হতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন তো শেখ হাসিনার কথায় প্রমাণিত হলো যে, তার ছেলের বিশাল সম্পদ বিদেশের মাটিতে, এগুলো যদি খাটি টাকা হয় তাহলে বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয় কিসের?
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ঢাকা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ এবং উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হকের যৌথ সঞ্চালনায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা বক্তব্য দেন।