নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি চাঁদাবাজি নিজেও করি না, কাউকে করতেও দেই না। তবে লোকজনকে সতর্ক করার জন্য হয়তো কারো কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছি। এজন্য আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে নৌকা মার্কার সমর্থনে বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সমাবেশে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
কাদের মির্জা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ট্রেনিং শেষে দুটি কথা বলেছিলাম। তা হলো—পৌর এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবো এবং শিশুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণ করবো। আমি তা পালন করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার এলাকায় কোথাও কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেই নাই। আমার পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও বলেছি, এলাকার মানুষজনকে হয়রানি করা যাবে না। আমি সকাল-বিকাল এলাকায় হাঁটি। কেউ বলতে পারবে না কারো থেকে চাঁদা নিয়েছি। তবে লোকজনকে সতর্ক করতে গিয়ে হয়তো কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছি। এজন্য আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে গিয়ে সবাই দলে দলে ভোট দেবেন। মা-বোনদেরকে কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। ভোট যেখানে মন চায় দেবেন। তবে কেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করবেন। বিএনপি-জামায়াতের কোনো কর্মী বা সাধারণ সমর্থকদের আমরা কিছু বলিনি। তারা এলাকায় নিরাপদে চলাচল করছেন। তবে বিএনপি-জামায়াতের গুটি কয়েক লোক আছে, যারা আগুন-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। আমরা তাদের ছাড় দেবো না।’
সমাবেশে বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি কাউন্সিলর নুর হোসেন ফরহাদ, সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নিজাম, সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।