মাঝে কিছু দিন নীরব থাকলেও আবার স্বরূপে হাজির নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিলেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডে তার কয়েকজন অনুসারী প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ওসি, এডিশনাল এসপি শামিম, ইউএনও এবং এসিল্যান্ড ১০ লাখ টাকা করে পায় একরাম এবং আলাউদ্দিন নাসিমের কাছ থেকে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় আমার ১৫ জন অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি বলেন- তুমি চুপ থাক, আমি চুপ থাকতাম।
অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের লাইভে ৪ সরকারি কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমি আবার শুরু করব, ছেড়ে দেব না। সত্য কথা থেকে আমি কখনও সরে দাঁড়াব না। আপনারা আমাকে সরাতে পারবেন না। কি করবেন, জেলে দিবেন? যা ইচ্ছা তাই করেন। ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী প্রশাসনের পাহারায় এখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ইউএনও, ওসির পাহারায় ডিসি,এসপির পাহারায়। এটা কি চালাচ্ছেন। কার রাজত্ব কায়েম করতে চান এখানে আপনারা। কি করতে চান আপনি।
কাদের মির্জা ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাকে বললে আপনি বলেন চুপ থাক। কি বুঝাইতে চান আপনি, কি করতে চান আপনি। তারা বলে তাদের সাথেও আপনি কথা বলেন। আমারে বললেন যে তুমি যেভাবে বলবা সেভাবে হবে। তাদেরকে বলেন, তোমরা যেভাবে বল সেভাবে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও, এসি ল্যান্ড, ওসি ও এডিশনাল এসপি শামিমকে প্রত্যাহার না করলে আমি কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করব। আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল, আমি যাব না। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। তারপর আমেরিকা যাব। আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আমরা কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলব। ছেড়ে দেব না।