পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দাবি করেছেন, কচুরিপানা তিনি খেতে বলেননি। এটা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছিলেন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন সংক্রান্ত সেমিনার-২০২১’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ দাবি করেন।
মন্ত্রী বলেন, কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছিলাম। কিন্তু সেটা বিকৃত করে ‘কচুরিপানা খেতে বলেছেন’ বলে গণমাধ্যমে এসেছে।
কচুরিপানা নিয়ে কেন গবেষণা হতে পারে না, সেই প্রশ্ন এখনও তুলছেন মন্ত্রী। তিনি মনে করেন, প্রশ্ন করার সাহস থাকতে হবে। কিন্তু সাহস দেশের সংস্কৃতিতে কম।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কচুরিপানা নিয়ে একবার বলেছিলাম গবেষণার প্রয়োজন আছে। এরকম একটা গবেষণা নিয়ে আসুন। সেখানে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, চার-পাঁচজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। আমি সেদিন বলেছিলাম, কচুরিপানা নিয়েও কেন গবেষণা করা যাবে না? এটা নিয়ে এক সাংবাদিক ভাই বলেছিলেন যে, আমি কচুরিপানা খেতে বলেছি! সেজন্য প্রথমে যে কথাটা বলেছিলাম, সাহস। সাহস আমাদের সংস্কৃতিতে কম। আমি ক্ষুদ্র মুখে বলছি এই বড় কথা। সাহস প্রদর্শন করতে হবে। কিন্তু করবে কারা- তরুণ যারা, পড়ছে যারা, পড়াচ্ছেন যারা, তারা। দে মাস্ট শো কারেজ (তাদের অবশ্যই সাহস দেখাতে হবে)। আস্ক কুশ্চেন (প্রশ্ন করতে হবে)। এই ধরনের (কচুরিপানা নিয়ে কেন গবেষণা হতে পারবে না) মৌলিক প্রশ্ন করার অধিকার যখন আমরা অর্জন করবো, তখনই আমরা বাস্তবিক অর্থে শিক্ষিত হয়ে উঠবো বলে আমি মনে করি।
সেমিনারের আয়োজন করেছে পরিকল্পনা বিভাগের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা চাইবো যে, আরও অধিকতর গবেষণা হোক। সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদে খুব বেশি টাকা নেই, আরও টাকা বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের দৈনন্দিন বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা সরকারি ব্যয়ে করবেন। আমার মন্ত্রণালয় থেকে আপনারা সহায়তা পাবেন।