English

20 C
Dhaka
শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করতে গিয়ে পুলিশি বাধায় বিএনপি নেতারা

- Advertisements -

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনসহ একাধিক নেতাকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। কবরস্থানের বাইরে দাঁড়িয়েই তারা মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর জন্য মোনাজাত করেন।
আরাফাত রহমান কোকোর ৫১ তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ১০ টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত করতে যান বিএনপি এর অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী। এ সময় কবরস্থানের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের ভেতরে যেতে বাধা প্রদান করে।
পরে বিশেষ অনুরোধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরফুদ্দিন সপু, ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ফুল নিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করার অনুমতি পান। এ সময় তারা কবরস্থানে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। একই সময়ে কবরস্থানের বাইরে থাকা অসংখ্য নেতাকর্মী দোয়া ও মোনাজাত করেন।
কবর জিয়ারত শেষে বাইরে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আজকে আমাদের নেতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও এদেশের জনগণের ভোটে প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র আরাফাত রহমান কবর জিয়ারত করতে এসেছিলাম। অনিবার্য কারণে যে আবেগ নিয়ে এসেছিলাম, সেই আবেগ নিয়ে সবাই কবরস্থানের পাশে গিয়ে দোয়া করতে পারিনি। আমরা আপনাদের পক্ষ থেকে তার আত্বার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেছি। আমরা শুনেছি, আপনারাও বাইরে বসে মোনাজাত করেছেন। আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করেছি। আমরা দোয়া করেছি খুন, গুম ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের জন্য। আমরা যেনো গণতন্ত্র পুনুরুদ্ধার করতে পারি সেজন্য দোয়া করেছি।
এসময় বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকে একটি অপরাধ মনে করি। এই বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধের একমাত্র উপায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক একটি সরকার ব্যবস্থা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না এমন একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু থাকলে সেখানে জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকে না। ফলে এরকম বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ সময় কবরস্থানের গেটের বাইরে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনসহ জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সা্হইফ মাহমুদ জুয়েল,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন