নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই সরকারকে হঠাতে আমরা শিগগিরই মাঠে নামব। আমরা রাজপথে নামলে এক সপ্তাহের মধ্যে খেলা ফাইনাল হয়ে যাবে। সেই রকম প্রস্তুতি নিয়েই আমরা মাঠে নামার চেষ্টা করছি। ‘
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে ঈদ পুনর্মিলনী এবং ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন করা হবে না এ বিষয়ে আমরা একমত। আর যারা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন। ‘
সরকার হটাতে যুগপৎ আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, অভিন্ন ইস্যুতে চার-পাঁচটি মঞ্চ বা জোট হতে পারে। আর আন্দোলনেই ঠিক হবে পরবর্তীতে কী ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। আমরা এমন সরকার চাই―যারা ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে সেই সরকার কত দিন ক্ষমতায় থাকবে সেটার নিষ্পত্তি করেই শিগগিরই আমরা মাঠে নামব। ‘
শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয় জানিয়ে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা সবাই অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এ জন্য এই সরকারকে বিদায়ে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে―এটা অর্জন করতে গিয়ে আমরা যেন নিজেদের পথ হারিয়ে না ফেলি। ‘
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এক ছাতার নিচে দাঁড়াতে না পারি, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি তাহলে এই সরকারকে হটানো যাবে না। ‘
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মো. আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, বিপিপির পারভীন নাসের খান ভাসানী, অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন, রানী শেখ প্রমুখ।