English

25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

শিবগঞ্জে নিসচা’র সহযোগিতায় পাকা মুদির দোকান পেল প্রতিবন্ধি শাকিল

- Advertisements -

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ববরণকারী যুবক শাকিলের জীবন চলে আনাহারে-অর্ধাহারে। হাঁটাচলা করতে পারেন না। চায় সহযোগী। সোস্যাল মিডিয়া ও একটি জাতীয় পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে শাকিলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে নিরাপদ সড়ক চাই শিবগঞ্জ উপজেলা শাখা।

তাকে সাবলম্বী করার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলা নিরাপদ সড়ক চাই দায়িত্ব নিয়ে উপজেলার কিচক বাজারে সরকারী খাস জায়গায় স্থাপন করে দেয় একটি মুদির দোকান।

৩মে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৩০ঘটিকায় উপজেলার কিচক বাজারে নিসচা শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা এমপি পুত্র হুসাইন শরীফ সঞ্চয়ের অর্থায়নে নির্মিত পাকা মুদির দোকানটি আনুষ্ঠানিকভাবে অসহায় শাকিলকে হস্তান্তর করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পা।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সাংবাদিক রশিদুর রহমান রানার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজু, নিসচা শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা উপজেলা যুবসংহতির আহ্বায়ক যুবনেতা হুসাইন শরিফ সঞ্চয়, উপজেলা প্রকৌশলী সিহাদুল ইসলাম।

নিসচা শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবি’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিসচা শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক আব্দুল হান্নান, সদস্য জিয়া, বায়েজিদ বোস্তামি, সোহেল রানা প্রমূখ।

প্রসঙ্গত সাইফুল ইসলাম শাকিল (২০) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের আপসন গ্রামের শাহিনুর ইসলামের একমাত্র ছেলে।

পিতার অভাবের সংসারে যোগান দিতে স্কুল পড়া বাদ দিয়ে শাকিল পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সঞ্চালন ও লাইন নির্মাণের শ্রমিক হিসেবে ২০১৪ সালে সামান্য বেতনে চাকরি নেন।

বিআরইবির তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপঠিকাদার লোকমান হোসেনের অধীনে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর কুমিল্লা জেলার বড়ুরা উপজেলার বাতাবাড়িয়া গ্রামে ৩৬৫০ কেভির হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে একটি দুর্ঘটনা তাকে পুঙ্গু করে দেয়। তাকে বলা হয়েছিল ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।’ কিন্তু সঞ্চালন লাইন স্পর্শ করতেই বিদ্যুতায়িত হয়ে ছিটকে পড়ে যান। দীর্ঘ ২০ দিন পর জ্ঞান ফিরলে দেখতে পান তার দুই পায়ের হাঁটু পর্যন্ত এবং ডান হাত সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে।

মুদির দোকান পাওয়া শাকিল আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমার জীবনের এমন দুঃখের সময়ে এসে নিরাপদ সড়ক চাই যে সহযোগিতা করলো তাতে আমার ভাগ্য’র পরিবর্তন ঘটলো। আমার জীবনে শুরু হলো নতুন এক অধ্যায়।

এছাড়াও নিসচা শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজুর সহযোগীতায় দোকানের মালপত্র ক্রয় করে দেওয়া হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন