English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

বড়লেখায় নিসচার ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

- Advertisements -

বড়লেখায় নিসচার ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ ১লা ডিসেম্বর বুধবার নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সাফল্য ও গৌরবের ২৯ বছরে পদার্পণ।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নোমানের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নিসচা পৃষ্ঠপোষক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ পারভেজ, সহ সভাপতি মার্জানুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার খালেদ আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী সহকারী গোলাম কিবরিয়া, প্রকাশনা সম্পাদক মারুফ হোসাইন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অপুজিত দাস, দপ্তর সম্পাদক রাসেল আহমদ, প্রচার সম্পাদক নূরে আলম মোহন, দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য রেদওয়ান রুম্মান, এনাম উদ্দিন, হাফিজুর রহমান জিল্লুর, আছাদ আল মাহদী, শাহেদ আহমদ সহ প্রমুখ।

২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখা সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, কর্মসূচির মধ্যে যা রয়েছে, বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা, শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন, এতিমখানার ছাত্রদের মাঝে কোরআন বিতরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, জানাহারা কাঞ্চন স্মৃতি পদক প্রদান, ট্রাফিক পুলিশের সাথে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনসহ আরোও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় ইলিয়াস কাঞ্চন তার ফেসবুক থেকে এক লাইভে আসেন এবং সেখানে তিনি বলেন, যদিও আমাদের এই বছরে আমাদের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনেক দু:খ জনক অধ্যায়ের মাধ্যমে শুরু করতে হচ্ছে। কারণ আপনারা জানেন যে, ২০১৮ সালে আমাদের দেশের ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছিলো। আবার নতুন করে এই ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে। সড়ক দুর্ঘটনারোধ করার জন্য নিরাপদ সড়ক বাস্তাবায়ন করার জন্য ও পরিবহনের হাফ ভাড়া দাবি আদায়ের জন্য তারা রাস্তয়ে নেমেছে। ঠিক এই সময় আমাদের এই ২৮বছর পার করতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ২৮ বছর আগে আমার স্ত্রী মারা যাবার পর এফডিসি থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত একটি র্যালীর মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কিন্তু এই ২৮ বছরে আমরা যা চেয়েছিলাম, আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়েছি আমিতো আমার স্ত্রীকে ফিরে পাবনা কিন্তু আমাদের সন্তানদের এই দেশের মানুষকেতো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারব। আমাদের যে মুক্তিযোদ্ধারা যারা গাজি হয়েছেন তাদের অন্তত একটা নিরাপদ সড়ক দিতে পারব। ২৫বছর পাকিস্থানি শাসন আমল সহ্য করে আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি। কিন্তু ২৮ বছর যুদ্ধ করে নিরাপদ সড়ক আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। ১লা ডিসেম্বর আমরা নিসচার যাত্রা শুরু করেছিলাম কারণ এই মাসটি হলো বিজয়ের মাস। এই বিজয়ের মাসে আমরা যেন আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারি এই উদ্দেশ্যে।

কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে আজকে বলতে হচ্ছে এই ২৮ বছর পরেও ময়লার গাড়িতে ছাত্র মারা যাচ্ছে। এই দেশে সড়কের আইন যেটি ২০১৮সালে সংসদে পাশ হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে আমি আন্দোলন করছিলাম, সড়কে যেন শৃঙ্খলা ফিরে আসে এর জন্য একটি আইন এর দরকার ছিলো। সড়কে যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে যেন ন্যায় বিচার পায়। দেশে ন্যায় বিচার যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর জন্য একটি নতুন আইন চেয়েছিলাম। সে আইনটি ২০১৮সালে সংসদে পাশ হবার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে ১লা নবেম্বর এটি বাস্তবায়ন হবার কথা থাকলেও আজও তা বাস্তাবায়ন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আমি বলব যে, আইনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা যেন অচিরেই বাস্তবায়ন করেন। এবং সড়ককে নিরাপদ করার জন্য আমরা সরকারকে যে সাজেশন দিয়েছি তা যেন বাস্তবায়ন করেন। দেশের মানুষকে যেন সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেন।

তিনি সড়ক দুর্ঘটনারোধে সকলকে এগিয়ে এসে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ২৮ বছরের এ আন্দোলনে নিসচার পালকে অনেক অর্জন এসেছে। নিঃসন্দেহে এসব সাফল্য নিসচাকে অনুপ্রাণিত করে। তবে কোনো প্রাপ্তিতেই নিসচা থেমে থাকেনি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিসচা শুরু থেকে একটি সময়োপযোগী আইনের দাবি জানিয়ে আসছিলো। পাশাপাশি শুধু আইন করলে হবেনা সড়কে আইন মানতে মানুষকে সচেতন করার ওপর জোর দেয় নিসচা। এজন্য ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানায়। তাদের লক্ষ্য ছিল, নিরাপদ সড়কের জন্য একটি দিবসকে যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা যায় তা হলে জনগণের মাঝে এ বিষয়ে একটি সচেতনতা তৈরি হবে। সরকার নিসচা দাবিকে সম্মান জানিয়ে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটির জাতীয় স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। নিসচা বিশ্বাস করে, এতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন আরও জোরালো হয়েছে। তবে নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে এবং এই আইনটি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানিয়েছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন