বৃষ্টি হলেই বগুড়ার গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী চাঁদমোহা সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও বাসিন্দাদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। সড়কের এমন কাদা-জলাবদ্ধতা পরিস্কার করে চলাচলের উপযোগি কর তুললেন বগুড়া নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা কর্মিরা।
টানা তিনদিনে বগুড়ায় বৃষ্টিপাতে এই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার অবস্থা ধারন করে। মুলত সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় বৃষ্টির পানি সড়ক থেকে ঠিকমতো নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং কাদা পানিতে এই সড়কে চলাচলে পোহাতে হয় দারুন ভোগান্তি। এমন দৃশ্য চোখে পড়ায় নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নিসচার অন্যন্ন কর্মিদের সার্বিক সহযোগিতায় আজ সড়কের ওপর জমে থাকা কাদামাটি অপসারন করা হয়। সড়কের উপর জমে থাকা এই কাদাপানির কারণেই রাস্তাটিতে পানি জমে থাকতো। চলাচলে বাধা সৃষ্টি হতো গ্রামের হাজার হাজার যাত্রীদের।
কাদামাটি পরিস্কার করার পর সড়কটি বর্তমানে চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এতে স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে গ্রাম বাসী। নিসচা কর্মিদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ঐ সড়কে চলাচলরত সাধারন মানুষ নিসচা টিমকে ধন্যবাদ জানান।
নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী থেকে পাকুরতলা পর্যন্ত এই রাস্তার মাঝখানে কিছু স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অনেক স্থানে রাস্তার ওপর মাটি জমে আছে এতে করে রাস্তার ওপর থেকে বৃষ্টির পানি জমিতে নামতে পারেনা। মুলত রাস্তাটা ভালই ছিল গ্যাস পাইপ যাওয়ার কারণে এখানে খনন করা হয়েছিল সে কারণে এটা আর সংস্কার করা হয়নি এখন এটাতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। একারণে আমরা নিসচা কর্মীরা এই কাদা পরিষ্কার করে যান চলাচলের জন্য উপযোগী করার চেষ্টা করছি মাত্র। আমরা সড়েক নিরাপদে চলার জন্য নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। সড়কে যেন সবাই সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারে এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এতে করে জনসাধারন মানুষ আমাদের সার্বিক সহযোগীতা করেন।
নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক রকিবুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমরা সড়কটিতে জমে থাকা কাদা পরিস্কার করে এখন চলাচলের জন্য উপযোগী করেছি এখন বৃষ্টির কারণে এখানে পানি না জমে থাকলেও টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সড়কটি কিছুটা পিচ্ছল হয়ে আছে। এই পিচ্ছিল সড়কে তিনি সকলকে সাবধানে গাড়ি চালানোর আহবান জানান। সেই সাথে তিনি জানান, নিসচা কর্মিদের উদ্যোগে এই সড়কে সুরকি (ইটের কুটি) ছিটানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে যেন সড়কের পিচ্ছিলভাবটি দুর হয়।
জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক রকিবুল ইসলাম সোহাগ আরো জানান, আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এই দিবসটিকে কেন্দ্র করে আমরা জেলা শাখার আয়োজনে মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন আমরা নানা সচেতনমুলক কার্যক্রম পালন করে আসছি। পাশাপাশি সড়কের এমন দুর্ভোগ যেখানে আমাদের চোখে পড়ছে সেখানেই আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী যতটুকু সহযোগীতা করা যায় তা আমরা করছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।