English

25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

নিসচার ইতিহাস বদলে ফেলার অপচেষ্টার প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার স্মারকলিপি প্রদান

- Advertisements -

সিলেট ব্যুরো,নিরাপদ নিউজ: নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা, ইতিহাসকে বদলে ফেলার অপচেষ্টা করা এবং নিসচা প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান ও তাঁর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার পক্ষ থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন নিসচার নেতৃবৃন্দরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিসচা সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মিশু, সিলেট মহানগরের সভাপতি রোটা. এম ইকবাল হোসেন, নিসচা জেলার সদস্য সচিব ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী পাবেল, নিসচা জেলা শাখার সদস্য আব্দুর রহমান, তাওহীদুল ইসলাম, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নাহেদ, আব্দুস সোবহান, মোঃ মাজিদুর রহমান মাছুম, শাহীন আহমদ, সিলেট মহানগর সহ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ লোকমান হেকিম, প্রচার সম্পাদক আহসান হাবীব প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২শে অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ এর সরকারি অনুষ্ঠানে দিবসটির প্রস্তুতি সভায় সেখানে নিরাপদ সড়ক চাই-এর ভূমিকাকে গৌণ করে রেখেছিল। প্রস্তুতি সভাগুলোতে না পারার মতো আমন্ত্রণ এবং উপস্থিতি সদস্য সংখ্যার তালিকা ছোট করে নামকাওয়াস্তে আমন্ত্রণ জানিয়ে তারা খ্যান্ত থাকেননি গত সাত বছরের রীতি রেওয়াজ যেগুলো সাধারণত অতিত কর্মকান্ড পরিচালনায় কনভেনশন আকারে চিহ্নিত হয়ে থাকে সেটারও ব্যত্যয় ঘটানো হয়।

বিশেষ করে বিশেষ দিনগুলোতে সেরকম কারো অবদানে প্রেক্ষাপট রচিত হলে তাঁকে নানা আয়োজনে সম্মান জানানো হয়, অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। যেহেতু ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ইলিয়াস কাঞ্চন এবং নিরাপদ সড়ক চাই-এর দাবি ও নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াসে এসেছিলো সে কারণে বিগত দিনে যে সরকারই ক্ষমতায় ছিলো এই দিবসে ইলিয়াস কাঞ্চনকে একটা সম্মান জানানো হতো। ইলিয়াস কাঞ্চন সেদিন রোড সেফটির উপরে এবং সড়ক নিরাপত্তায় বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরতেন। কিন্তু ব্যাতিক্রম ঘটে এইবারের সরকারি অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অনুষ্ঠানের সম্মুখ সারিতে বসিয়ে রাখা ছাড়া আর কোন সম্মান দেয়া হয়নি।

অনুষ্ঠানে নিসচাকে খাটো করে কতিপয় শিক্ষার্থীদের সম্মুখসারিতে তুলে এনে সেখানে তারা নিয়ে আসে ২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের কথা। আমরা নিসচা কর্মিরা মনে করছি এই শিক্ষার্থীদেরকে সরকারের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর ও পরিবহন সেক্টরকে যারা লুটেপুটে খেতে চায় তাদের একট পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। তাদের চাপের মুখে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সেখানে কোন বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এতকিছুর পরও ইলিয়াস কাঞ্চনসহ সড়ক যোদ্ধারা কষ্ট হলেও মেনে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান করছিলো।

কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে যখন নিরাপদ সড়ক চাই-এর অস্তিত্বের ওপর আঘাত আনে এই মর্মে যে, ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সূচনা হয় এই কথা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানে বলা হয় এদেশের মানুষের স্বপ্ন দেখা এবং সড়ক নিরাপদ করার পরিকল্পনার কথাগুলো উঠে আসে ২০১৮ সালের পর থেকে তাহলে প্রশ্ন জাগে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রয়াস এবং কোটি কোটি জনতার আবেগের প্রেক্ষাপট কোথায় হারিয়ে গেল? নাকি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক চাই ও ইলিয়াস কাঞ্চনকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায় একটি স্বার্থন্বেসী মহল? আমরা মনে করি এই ইতিহাসকে তারা চাপা দিতে চেয়েছিলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াস কাঞ্চন তার সড়ক যোদ্ধাদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

আমরা এই ঘটনার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আপনার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে জানাতে চাই নিরাপদ সড়ক চাই এই আন্দোলনটি ইলিয়াস কাঞ্চন-এর একার হলেও এটা এখন ১৮কোটি মানুষের প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে। এখন এটা সর্বজনবিদিত। কোনো অবস্থানে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না সড়ক যোদ্ধারা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন