মো. বোরহান উদ্দিন: সড়ক মহাসড়কে দুর্ঘটনার পর পরই চালক কিংবা পথচারীকে দায়ী করা উচিৎ নয়। দুর্ঘটনায় কে দায়ী তা আগে তদন্ত করে বের করতে হবে। তবেই দায়ীর প্রতি পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া যায়। কিন্তু সচরাচর তা দেখা যায়না দুর্ঘটনার পর পরই যে কারো উপর দোষ চাপিয়ে দেয়া হয়। এতে দুর্ঘটনা হ্রাস, দায়ীর বিচার ব্যবস্থা ঝিমিয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা’র হাটহাজারী উপজেলা কার্যালয় উদ্বোবনকালে নিসচা’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব লিটন এরশাদ এসব কথা বলেন, উপজেলা সভাপতি ওজাইর আহমদ হামিদীর সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, সড়কের পাশে যেভাবে ঘরবাড়ি-হাটবাজার বসে তাতে দুর্ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক কারণ একজন চালক গতি নিয়ন্ত্রণে দিশেহারা হয়ে পড়ে। অপরদিকে মহাসড়কের অনেক জায়গায় ফুটওভারব্রীজ থাকা স্বত্ত্বেও পথচারী ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে ব্যস্ত থাকে।
পারাপারে আরো সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, বড় যানবাহনগুলোতে নির্ধারিত সিটের চেয়ে অতিরিক্ত সিট, বডি লাগালে গাড়ির ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে চালকের। গাড়ির নিকটবর্তী অনেক কিছুই চোখে পড়েনা। যানবাহন মালিকদের এ বিষয়গুলো দেখা উচিৎ। চালকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দুর্ঘটনা হ্রাস সম্ভব নয় তাই তাদের বিষয়টা ভাবতে হবে।
সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৯৯৩ সাল থেকে ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে নিসচা। নিসচা’র উদ্দেশ্য জনগণের মাঝে সে বার্তা পৌঁছিয়ে দেয়াই এলাকা ভিত্তিক কমিটিগুলোর কাজ। মানবিক চরিত্রকে বিকশিত করা জনসচেতনতা তৈরি করা তাদের প্রধান কাজ।
সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উল্লাহর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, শাখার উপদেষ্টা ইউনুছ খন্দকার, সহ-সভাপতি মো. শোয়াইব, আবুল হাসেম, মন্জুর আলম,রাশেদুল আলম ইব্রাহিম প্রভাষক আহসান আরিফ, আজিজুল হক আলমাদানি, হারুন চৌধুরী এইচ এম শাহেদ, হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন, সাংবাদিক মাহমুদ আল আজাদ,ফরহাদ প্রমূখ। এ ছাড়া শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলোয়াত করেন হাফেজ তানিম।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা’র হাটহাজারী উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে নিসচা’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব লিটন এরশাদকে সংবর্ধনা জানানো হয় এবং একটি সন্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।