English

23 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

জাবিতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে নিসচা’র মাসব্যাপী আয়োজন, ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

- Advertisements -

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির আওতাভুক্ত ক্যাম্পেইন আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৩ অক্টোবর (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয় নিসচার মূল কর্মসূচি। সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মহিবুর রৌফ শৈবাল এর নেতৃত্বে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ধামরাই উপজেলা উপজেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি নাহিদ মিয়া, সড়ক দুর্ঘটনা অনুসন্ধান ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক
এস এম রাশেদ হাসান, কার্যকরী সদস্য মো. আকাশ মিনা, ইকবাল হোসেন অপু ও তানভীর আহমেদ, সাভার থানা শাখার সম্মানিত আহ্বায়ক জনাব ইসমাইল হোসেন, কার্যকরী সদস্য আবদুল মতিন, আজিজুর রহমান, আশুলিয়া থানা শাখার প্রচার সম্পাদক মো. হৃদয় সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

ক্যাম্পেইনজুড়ে বিভিন্ন মটর সাইকেল আরোহী, রিকশা চালক এবং সাধারণ পথচারীদের পথচলার ব্যাপারে সঠিক নিয়মকানুন জানানোসহ অন্যান্য সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়। অতঃপর চৌরঙ্গী ক্যাম্পেইন চালিয়ে শেষে প্রান্তিক গেইটে ক্যাম্পেইনটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া বলেন, আমরা যারা শিক্ষার্থী আছি সকলকে সচেতন হতে হবে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। যারা হেলমেট বিহীন তারা বুঝুন জীবন একটাই আর এ জীবন কে ভালোবাসতে হবে। যারা রাস্তায় চলাচলের সময় মোবাইলে কথা বলেন, তাদের কে অনুরোধ, রাস্তা পার হওয়ার পর কথা বলুন। রাস্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা।এই রাস্তা চিনে না কোনো মন্ত্রী মহোদয় কে,স্টুডেন্ট কে! অনেকেই এই সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে এমনকি, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এর স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে! সড়ক দুর্ঘটনা কাউকে চিনে না! তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। সড়কে নিরাপদ ভাবে চলতে হলে আইন মানতে হবে।

ইলিয়াস কাঞ্চন চায় আপনারা আইন মানুন। বাংলাদেশের ২০% নারী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। তাই নারীদের কে সাবধানে চলতে হবে, তাদের ওরনা যাতে রিকশায় পেচিয়ে দুর্ঘটনার কারণ না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
সড়কপথের সকল আইনকানুন ব্যক্তিগতভাবে এবং পারিবারিকভাবে সর্বত্রই মেনে চলতে হবে এবং সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে সকল সড়কযোদ্ধাদের সড়কপথের নিরাপত্তায় যথাসাধ্য কাজ করতে হবে।

এ সময় নিসচা জাবি শাখার আহ্বায়ক এস এন সোহেল রানা বলেন, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সড়ক সচেতনতা বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পেইন চালিয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার করা, ক্যাম্পাসে গতিসীমা ঠিক রেখে মোটরসাইকেল চালানো, রিকশার গতি নিয়ন্ত্রন করা সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাই আমরা। আমাদের এ প্রচারণা চলতেই থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটি, ধামরাই উপজেলা, সাভার থানা, আশুলিয়া থানা শাখার সড়ক যোদ্ধাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

সদস্য সচিব রুকাইয়া সরকার পাখি বলেন, “আমাদের এ সংগঠন যতোটা নতুন, আমাদের সড়কপথের যোদ্ধা হবার অভিজ্ঞতাও ঠিক ততোটাই নতুন। যেহেতু আমরা শিক্ষার্থী, পড়াশোনাসহ যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ফাঁকে সাধ্যমতো সচেতনতা ছড়ানোর চেষ্টা করে থাকি। এবারের আয়োজনটি যদিও স্বল্প পরিসরে করেছি, পরবর্তীতে সবাইকে সাথে নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসব্যাপী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, ট্রেনিং সেশনসহ সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করবো ইনশাল্লাহ্। সচেতনভাবে রাস্তা চলাচলে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিসচার সদস্য হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। যার যার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে সবাই নিজেকে এবং আশেপাশের সবাইকে সচেতন করতে পারলেই আমাদের আজকের এই আয়োজন সার্থক।”

যুগ্ম আহ্বায়ক প্রান্ত সাহা বলেন, মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সড়ক সচেতনতা বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করি, সেখানে সাভার, ধামরাই, আশুলিয়া ছাড়াও কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্যদের উপস্থিতিতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়; সড়কপথে গতিসীমা সম্পর্কে চালাকদেরকেও নানাভাবে সচেতন করার সচেষ্ট ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন উপস্থিত নিরাপদ সড়ক কর্মীরা।

সাভার থানা শাখার আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন বলেন, দাবী তো একটাই, নিরাপদ সড়ক চাই। আর এই সড়ক কে নিরাপদ করতে হলে পরিবহন চালক,যাত্রী এবং পথচারী এই তিন শ্রেণীর ব্যক্তিকে সমান ভাবে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি জাতিসংঘ যে পাঁচটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করে দিয়েছে সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। তবেই সড়ক দূর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। এখন কথা হচ্ছে সড়ক দূর্ঘটনা কমে গেলেই কি আমরা সড়ক কে নিরাপদ বলতে পারব কি না? যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা পরিবহনের বিভিন্ন নামে বেনামে চাঁদাবাজী এবং প্রশাসনের হয়রানী বন্ধ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সড়ক নিরাপদ হবে না। পরিশেষে বলতে চাই, আমরা আশাবাদী আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে,সকল চাঁদাবাজি ও প্রশাসনিক হয়রানী বন্ধ হবে। পথ হবে শান্তির, মৃত্যুর নয়। আসুন সবাই আইন মেনে সড়কে চলি,নিরাপদে ঘরে ফিরি।

আশুলিয়া থানা শাখার প্রচার সম্পাদক মো. হৃদয় বলেন, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আমরা আশুলিয়া থানা শাখা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাথে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করি। রিকশা চালক, মোটর সাইকেল আরোহী ও পথচারীদের কিভাবে রাস্তায় চলাচল করা উচিত আমরা তাদেরকে সেগুলো বুঝিয়ে বলি এবং সচেতন করি। আমরা আশুলিয়া থানা শাখা সহ সাভার থানা ও ধামরাই উপজেলা শাখা সবসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যেকোন কার্যক্রমে সাথে থাকবো ইনশাল্লাহ।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন