বগুড়ার ব্যস্ততম সড়ক তিনমাথা রেল গেট। প্রতিদিন দেখা মেলে তীব্র যানজট। এই যানজট নিরোসনে আজ সেখানে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয় নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে। টানা দুই ঘন্টার ক্যাম্পেইন চলাকাল সময়ে সেখানো কোন যানজট চোখে পরেনি। নিসচার ক্যাম্পেইন শেষে আবারও সেখানে দেখা যায় আগের মতোই তীব্র যানজট সৃষ্টি হতে।
ক্যাম্পেইন চলাকালে দেখা যায় মুলত সেখানে উল্টো পথে চলা যানবাহন গুলোর কারণে যানজট এর সৃষ্টি হচ্ছে। এসময় নিসচা টিম সেখানে উল্টো পথে আসা যানবাহন সঠিক পথে ফিরিয়ে দেয় এবং টানা দুই ঘন্টা ঐ সড়কে কোন ভাবে কোন গাড়িকে উল্টো পথে চলার সুযোগ না দিয়ে চালকদের বুঝিয়ে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নিসচার ক্যাম্পেইন চলাকালে সেখানে কোন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দেখা মেলেনি। এবং কোন ট্রাফিক পুলিশ সেখানে না থাকার কারণে চালকরা ইচ্ছামতো যে যার মতো করে চলাচল করে আসছিলো। এবং একারণেই সেখানে যানজট প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে বলে অভিযোগ করেন নিসচা কর্মিরা।
উল্টো পথে গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বেশ হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক চাই-এর বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা। তারা নিরাপদ নিউজকে জানান, আমরা নিসচা টিম দুই ঘন্টাব্যাপী এখানে কাজ করেছি এসময় কোন গাড়ি উল্টো পথে আসতে পারেনি। একারণে যানজট মুক্ত ছিলো সড়কটি এবং নিরাপদে নির্বিঘ্নে সবাই চলাচল করতে পেরেছে। অথচ এখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কোন উপস্থিতি নেই। আমরা মনে করি এখানে ট্রাফিক পুুলিশ দ্বারা সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষনের প্রয়োজন আছে। যাতে করে কোন চালক সুযোগ না পায় উল্টো পথে চলার। উল্টো পথে গাড়ি না চললেই এই সড়কে যানজট থাকবেনা বলে মনে করেন নিসচা কর্মিরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে বগুড়া নিসচা শাখার আয়োজনে চলছে ম্যাসব্যাপী কর্মসূচি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৯তম দিনে শহরের তিনমাথা রেল গেটে নিসচার আয়োজনে যানজট নিরসনে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন,নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি রোটাঃ মোস্তাফিজার রহমান, (নিসচা) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম সোহাগ, যুগ্না সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানী শিপন, দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান তালুকদার নিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন, সদস্য আবু রায়হান, শহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম সোহাগ শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।