খুলনা মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তারা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসায়ী, হকার, অবৈধ পার্কিং, অতিরিক্ত ইজিবাইক ইত্যাদি কারণে ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে দিনের বেশির ভাগ সময় লেগে থাকে যানজট। ফুটপাত যে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে তা দেখার যেন কেউ নেই।
মানুষ যেন মেনেই নিয়েছে এই পরিস্থিতিকে। কখনো কখনো ফুটপাতে গর্তও দেখা যায়। কোথাও কোথাও মূল রাস্তাকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে কেটে ফুটপাত আরো ছোট করে ফেলা হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে বিশেষ করে নগর ব্যবস্থাপনার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে রয়েছে সমন্বয় ও সমঝোতার অভাব। যে কারণে নগীরর রাস্তা ঘাট, ড্রেন, ফুটপাতের উন্নয়ন হলেও স্বস্তি মিলছে না নগরবাসীর।
যানজট মুক্ত খুলনা গড়তে প্রয়োজন দখলমুক্ত ফুটপাত এমনটি মনে করছেন নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার নেতারা।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামনে রেখে শনিবার (২১ অক্টোবর) নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার পক্ষ থেকে নগরীর রয়্যাল মোড়ে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কালে এসব কথা বলেন নিসেচার নেতারা।
ফুটপাতের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য সিটি মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের কাছে দাবি জানান নিসচার নেতারা।
পরিবহন চালক, শ্রমিক, হকার ও পথচারীদের মাঝে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিসচার খুলনা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন।
বক্তৃতা করেন নিসচার খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, সহ-সভাপতি এমডি খায়রুল ইসলাম খান জনি, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাজী খোকন, মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন সোহাগ, জেলা যুগ্ম সম্পাদক মফিজ আহমেদ মজুমদার, অভিজিৎ পাল, অর্থ সম্পাদক মোঃ আসলাম হোসেন, মহানগর শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিনা পারভিন , কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ শামীম হোসেন, মো. আবু মুছা, ইদ্রিস আলী মামুন, মো. ফিরোজ আলী, গাজী আক্তার হোসেন প্রমুখ।