English

15 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রস্তুতি ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত

- Advertisements -

স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক সংগঠন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের আয়োজনে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার “মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রস্তুতি ও নাগরিক সমাজের করণীয় শীর্ষক অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব,  অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম এর চেয়ারম্যান এস এম আজাদ হোসেন।সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব আতাউর রহমান মিটন,স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সদস্য সচিব রুহি দাস, শামসুন নাহার আজিজ লীনা, ও সদস্য মাজেদুল ইসলাম আকাশ। এছাড়াও  সুশীল সমাজের আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ  তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি বলেন, বাঙালিরা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, এখন আমরা আমাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নয়রেন রুল মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অ্যাড. মশিউর মালেক বলেন, বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে, আমরা যে দারিদ্র্য দূরীকরণের কথা বলছি, সেই স্বপ¦ পূরণে আমরা আর খুব বেশি দূরে নেই।
অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম , সেই স্বপ্নগুলো যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে আমাদের অর্জনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতারাং আমরা কোন প্রশ্নবিদ্ধ স্বপ্ন দেখতে চাই না। এজন্য আমাদের দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম আজাদ হোসেন আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণ বয়স থেকে শুরু করে জীবনের শেষ পর্যন্ত সোচ্চার ছিলেন তিনি। তিনি দুর্নীতিকে দেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।
বর্তমানে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সেই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়।সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিরপিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।তিনি পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর হাতেই উদযাপন হবে স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী।আজ এই সেমিনারে তাঁর দুটো উক্তি উল্লেখ করতে চাই-
গ্রামের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি গ্রামই একটি নগর হিসেবে গড়ে উঠবে। গ্রামের মানুষও উন্নত জীবন পাবে। সেটাও আমরা নিশ্চিত করব। সমগ্র বাংলাদেশই হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলাদেশ।’
দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজকে আমাদের দারিদ্রের হার ২১ ভাগে আমরা নামিয়ে এনেছি। হত দরিদ্রের হার আমরা ১১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য এটা আরো কমিয়ে আনা এবং হত দরিদ্র বলে এদেশে কিছু থাকবে না।’
তিনি বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা এমনভাবে উদযাপন করতে চাই যেন মুখ উঁচু করে বলতে পারি, হ্যাঁ, এমন স্বাধীনতাই আমরা চেয়েছিলাম।
স্বাধীনতার সুফল যেন সব মানুষের ঘরে পৌঁছায় তার জন্য যেমন সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, তেমনি কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করতে হসবার জন্য কাজ, শিক্ষা, মাথা গোঁজার ঠাঁই, চিকিৎসা সেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা রাখতে হবে। উগ্রতা পরিহার করে উদারতার চর্চা বাড়াতে হবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,নতুন আশা ও স্বপ্ন নিয়েই উদযাপিত হোক স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।
এছাড়াও বক্তারা বলেন, আমরা সকলেই জানি যে ২০২০ সালে পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে উদযাপিত হবে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি স্বনির্ভরশীল স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কথা বলেছেন। আগামী ২০২১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে জাতির সন্তানেরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে, তাদের পক্ষে দারিদ্র্যও দূর করা সম্ভব। সেই বিশ্বাস ও প্রেরণা থেকেই আমরা বিশ্বাস করি, স্থানীয় সরকার, প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্রিয় নেতৃত্ব যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করলে বঙ্গবন্ধুর সেই ক্ষুধাদারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি স্বনির্ভরশীল স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এজন্য আমাদেরকে ইউনিয়ন ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নকে এখন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নকে যদি আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারি তাহলে আমাদের দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আমরা এখনো প্রত্যাশা করি ২০২১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন