তাহমীদ ইশাদ রিপন, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখার আয়োজনে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ধারাবাহিক কর্মসূচী নিয়ে “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ সড়ক চাই” শীর্ষক শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি সরকার নির্ধারিত এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ ২৮তম কার্যদিবসে নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার আয়োজেনে পৌর শহরের স্থানীয় হলরুমে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি ও নিসচার পৃষ্টপোষক তপন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে এবং নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সুজানগর হাজি শামসুউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিসচার সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জুড়ী টি.এন.খানম সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অরুণ চন্দ্র দাস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মুহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার নাজিম উদ্দীন। কাঠালতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীপক দে পলাশ, সুজানগর জ্ঞানগৃহ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিন, পশ্চিম বর্ণী শিশু শিক্ষা একাডেমির প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, নিসচার পৃষ্টপোষক ব্যবসায়ী কবির হোসেন, নিসচার কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ নগর কুতুব আলী একাডেমির সহকারী শিক্ষক শাহরিয়ার আহমেদ শাকিল, বর্ণী শিশু শিক্ষা একাডেমির সহকারী শিক্ষক আবেদ হোসেন, জাবের আহমদ, নিসচার অর্থ সম্পাদক মাওলানা মাসুম আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক মারুফ হোসাইন সুমন ও কার্যনির্বাহী সদস্য এনাম উদ্দিন প্রমুখ।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে হবে। যাত্রা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে সড়কও নিরাপদ করতে হবে। আমাদের বাঁচতে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে রাস্তা নিরাপদ করতে হবে। তাই নিরাপদ প্রজন্ম গড়তে নিরাপদ সড়ক জরুরি।
এ জন্য দরকার সবার মানসিকতার পরিবর্তন। নিতে হবে সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা। তবেই তৈরি হবে নিরাপদ সড়ক।’
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ অরুণ চন্দ্র দাস বলেন, কেবল সরকারের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। কিছু দায়িত্ব আমার, আপনারও আছে। কাজেই চালক, পথচারী ও শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার দায়-দায়িত্ব সকলেরই আছে। সেটা মনে রেখে সবাই নিজেদেরকে সুরক্ষিত করতে সচেষ্ট হলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ সড়ক উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনটির এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ।
আমরা মনে করি যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন, তারা তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবগুলো বিষয় নিয়ে অবহিত এবং সচেতন করে তোলাই হবে আমাদের দায়িত্ব। তাহলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই সড়ক নিরাপদ হয়ে ওঠবে।