সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অসহায় পরিবারের মাঝে অর্থ প্রদান ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নিলেন বগুড়া নিরাপদ সড়ক চাই জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দগণ।স্বামী পরিত্যক্তা আরিফা বেগমের অভাব অনাটনের সংসারে এক মাত্র সন্তান আরিফুল (১২)। মা আরিফা কাজ করেন অন্যের বাসা বাড়ীতে। কাজ করে জমানো টাকা দিয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আনতে শিশু আরিফুলকে কিনে দেন একটি ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান। আরিফুল ভ্যানটি চালায় বগুড়ার শিবগঞ্জের দাড়িদহ থেকে গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা আঞ্চলিক সড়কে। আরিফুলদের পরিবারে অসহায় বৃদ্ধা নানী- মা, ছোট খালা সহ ৫জন সদস্য।
কিশোর বয়সে সংসারের ঘানি টেনে ভ্যান চালিয়ে সংসার পরিচালনা করতো পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম শিশু আরিফুল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আরিফুলের অটোভ্যানের ব্যাটারী বিস্ফোরণ হয়ে ঝলসে যায় শরীর ও পা। এলাকাবাসীর সামান্য কিছু অর্থিক সহায়তায় আরিফুলকে ভর্তি করানো হয় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অর্থের অভাবে ঔষধ পত্র কেনা, চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা বা কারো কোন সুপারিশ না পেয়ে অবহেলায় পড়ে ছিল হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে বাড়ীতে ফিরে আসে তাঁরা। আত্মীয়ের মাধ্যমে দুর্ঘটনায় এই অসহায় পরিবারের খোঁজ পান বগুড়া জেলা নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক গোলাম রব্বানী শিপন। সংবাদ পেয়েই তিনি ছুটে যান দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের বাড়িতে। এবং সেখান থেকে ফিরে তিনি তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
উল্লেখ্য, আরিফুলের বাড়ী বগুড়ার সীমান্ত এলাকা গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউপির ফাঁসিতলার দিঘলকান্দী গ্রামে।