নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)র মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের চলতি মেয়াদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন অধ্যাপক ডঃ সুলতানা আলম। নিসচা মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের সভাপতি আহমেদ ওবায়দুস সামি রেড ক্রিসেন্ট এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ভারতে স্থানান্তরিত হওয়ায় ডঃ সুলতানাকে এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
১৬ মে ২০২২ নির্বাহী সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সকলের সম্মতিক্রমে চলতি মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নিসচার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ডঃ জাহাঙ্গীর আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিসচা মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক-অনুপম পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- এসএসএম খুররম, সাংগঠনিক সম্পাদক-জাফর ফিরোজ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক-ডঃ নাজমুল হাসান, অফিস বিষয়ক সম্পাদক- ডঃ সাদিয়া ফেরদৌসি, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ সহিদুল হাসান, আইন বিষয়ক সম্পাদক- ডঃ মোঃ বেলাল হোসাইন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা-ডঃ হালিমা সাদিয়া হাকিম, যুব বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ রুহুল আমিন সরকার।
ডঃ সুলতানা আলম মালয়েশিয়ার টুঙ্কু আবদুল রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী (১৯৯৮) এবং স্নাতকোত্তর (১৯৯৯) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে, তিনি ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০৯সাল থেকে, তিনি সুলতান ইদ্রিস ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়াতে স্থায়ী শিক্ষকতা শুরু করেছেন। ২০১৬ সালে, তিনি টুঙ্কু আব্দুল রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সূচক জার্নালের সম্পাদকীয় প্রধান ও এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্য।
তিনি ২৬ আগস্ট, মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ (ফিলিপাইন) দ্বারা সেরা গবেষক পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৩ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি পেন্ডিডিকান সুলতান ইদ্রিস (বিশ্ববিদ্যালয় স্তর) কর্তৃক অসামান্য পরিষেবা পুরস্কার লাভ করেন। তাঁকে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত।
২০১৬ সাল থেকে তিনি International Association of Research Ethics Across Disciplines এর আন্তর্জাতিক সভাপতি হিসাবে কাজ করছেন। তিনি মালয়েশিয়ার সরকার থেকে গবেষণার জন্য অনুদান পেয়েছেন।
তিনি অনেক অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রকল্পের সুপারভাইজ করেছেন এবং তিনি বর্তমানে অনেকগুলি পিএইচডি শিক্ষার্থীদের গবেষণা তত্ত্বাবধান করছেন।
তার অসামান্য অবদানের জন্য প্রথম বাংলাদেশী নারী সাকসেসফুল পিপলস ইন মালয়েশিয়া’ শীর্ষক বইয়ে জায়গা পেয়েছে।