নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিসচা সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে উক্ত স্মারক লিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা সাতক্ষীরা জেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহম্মাদ আলী সুজন, পৃষ্ঠপোষক এবং সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আবুল কালাম, সহ-সভাপতি সেলিম রেজা মুকুল, সাধারণ সম্পাদক এস এম মহিদার রহমান, অর্থ সম্পাদক জি এম সোহরাব হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড এ বি এম সেলিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ তৌফিকুজ্জামান লিটু, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ অহিদুজ্জামান, কার্যকরী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল ওয়াজেদ কচি, এ এস এম শাহনেওয়াজ মাহমুদ রনি, এ্যাড মোস্তফা জামান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ প্রমুখ।
স্মারক লিপিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রণীত হলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ আইনটির বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। দীর্ঘ ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিধিমালা প্রণীত হয়নি, যার ফলে আইনটি অকার্যকর হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম ৫টি পিলার ১. সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ২. ঝুঁকিমুক্ত যাহবাহন, ৩. সচেতন সড়ক ব্যবহারকারী, ৪. সড়ক দূর্ঘটনায় পরবর্তী করণীয়, ৫. গাড়ি চালনার উপযুক্ত পরিবেশ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে না।
কারণ সড়ক দূর্ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই ৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে -গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালনা ও শিশু আসন। যেমন কোন রাস্তায় যানবাহন ধরণ ভেদে কোন গাড়ির কত গতি হবে সে সম্পর্কে কোন উল্লেখ নেই। তাছাড়া শুধু চালককে সিটবেল্ট ব্যবহারে নির্দেশনা থাকায় যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধানের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় জাতিসংঘের নির্দেশনাকে অমান্য করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টের সঠিক ব্যবহার ও মনিটরিং না থাকায় এখনও অনেক চালক মদ্যপ ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা করছে এবং আমাদের দেশে শিশুদের জীবন রক্ষার্থে শিশু আসনের কোন বিধান সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ তে উল্লেখ নেই। তাছাড়া সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি প্রয়োগে ‘বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপর্যুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, চালক, মালিক, পথচারী ও যাত্রীদের আইন সম্পর্কে জানাতে প্রচার মাধ্যমে ব্যপক প্রচার ও সড়ক ব্যবহারকারী সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তুলতে বিশেষ কর্মশালার গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।