নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ইতিহাস ৪৫ ব্যাচের এস এন সোহেল রানাকে আহ্বায়ক ও ইংরেজি ৪৬ ব্যাচের রুকাইয়া সরকার পাখিকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ২০২২-২৩ কার্যনির্বাহী আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৬ জুন ২০২২ সোমবার নিসচা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছে – অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, ট্রেজারার- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। হোসনে আরা বেবি, সহযোগী অধ্যাপক -ইতিহাস বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। মহিবুর রৌফ শৈবাল, সহকারী অধ্যাপক – নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সুদীপ বাঙালি, সাবেক শিক্ষার্থী- ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
নব-নির্বাচিত আহ্বায়ক এস এন সোহেল রানা বলেন, সড়ক যোদ্ধা হিসেবে আমাদেরকে কাজ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান শ্রদ্ধেয় ইলিয়াস কাঞ্চন স্যার, সম্মানিত মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবুল, যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ আলম মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাহিদ মিয়াসহ সকলকে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক রাস্তাগুলোতে নিরাপত্তা ও মানুষদেরকে সচেতনতা করার লক্ষ নিয়ে আজ আমাদের পথচলা শুরু। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন শ্রদ্ধেয় নেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের ‘নিরাপদ সড়ক’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি। কমিটির সকল সদস্যকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
সদস্য সচিব রুকাইয়া সরকার পাখি বলেন, ছোটবেলায় সড়ক দুর্ঘটনা বলতে বুঝতাম গ্রামের রাস্তায় একটা কুনোব্যাঙ কিংবা হাঁস-মুরগি থেতলে পড়ে থাকা কোনোকিছু। আমার চোখে খুব বড়সড় রকমের দুর্ঘটনা ছিলো এক-দেড় মাস বয়সী দুরন্ত বাছুরছানা বা কুকুরের পিষ্ট দেহ। তাতেই কেমন শিউরে উঠতাম, ঘুমানোর এক সেকেন্ড আগ পর্যন্ত রাস্তার পিচের সাথে লেপ্টে থাকা মৃতদেহ ভাবনার জগৎ থেকে সরে যেতোনা। সপ্তাহখানিক লেগেই যেতো সেটা ভুলে যেতে।
বড় হলে পরে দুর্ঘটনার দৃশ্যেও বাড়ে নৃশংসতার গভীরতা। আস্ত মানুষ পড়ে থাকে নিথর হয়ে। সেই শোকের সময়সীমাও কমে আসে, খুব বড়জোর একদিনে। ব্যস্ততায় বা মানসিকভাবে সুস্থ থাকবার তাগিদে সব ভুলে যেতে হয়। তবে যেই ক্ষত একবার দেগে বসে, সেটা কখনো সারিয়ে তোলবার মতো নয়।
এখন বিশোর্ধ তরুণী। দেখা-অদেখা অসংখ্য দুর্ঘটনার খবর পড়তে পড়তে ক্ষত জমে পাহাড়। আর নিতে পারিনা, নিতে চাইবোও না। এসব নির্মম খবর আর না আসুক কাগজে বা স্ক্রিনে। সেই তাগিদেই ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর সাথে সখ্যতা গড়বার চেষ্টা করছি। এতে হয়তো কোনো সড়ক দুর্ঘটনা আটকাতে পারবোনা আমি, জনমনে সচেতনতা ছড়িয়ে ‘সড়ক দুর্ঘটনা’ শব্দদুটিকে গলাটিপে মেরে ফেলতে পারবো নিশ্চয়ই। আজ নাহোক; কাল, কিংবা একযুগ পরে। পারতেই হবে আমাকে, আমাদের। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর যাত্রাপথ আরো দীর্ঘায়িত হউক। সকলকে ধন্যবাদ।
২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আরো রয়েছে-
যুগ্ম আহ্বায়ক, প্রান্ত সাহা, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব ৪৫ ব্যাচ, রবিউল আলম, ইতিহাস ৪৫ ব্যাচ। কার্যকরী সদস্য-
হাফিজা সুলতানা রুম্পা, আইন ও বিচার ৪৬ ব্যাচ, শেখ রাজু, প্রত্নতত্ত্ব ৪৬ ব্যাচ, শবনম মুস্তারি প্রিয়াংকা, অর্থনীতি ৪৭ ব্যাচ, রাজু আহমেদ, ইংরেজি ৪৭ ব্যাচ, মোঃ রাজিব হোসেন পরিসংখ্যান ৪৭ ব্যাচ, নুশরাত জাহান আলো, অর্থনীতি ৪৭ ব্যাচ, মোঃ শাহ আলম, দর্শন ৪৮ ব্যাচ, মনির হোসেন, গণিত ৪৮ ব্যাচ, জাকিয়া সুলতানা পিংকি, পরিসংখ্যান ৪৮ ব্যাচ, নিলয় সাহা, গণিত ৪৯ ব্যাচ, রিফাত জাহান রিঝুম, গণিত ৪৯ ব্যাচ, সালেহীন নোমান বিন আউয়াল, অর্থনীতি ৪৯ ব্যাচ, মোঃ সাফায়েত মীর, গণিত ৪৯ ব্যাচ, দিদারুল ইসলাম দিপু
পরিসংখ্যান ৪৯ ব্যাচ, মোঃ রবিউল ফয়সাল, গণিত ৪৯ ব্যাচ, তানহা রাশীদ,মার্কেটিং ৪৯ ব্যাচ।