সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চূড়ান্ত ও অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা জুড়ী উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী, উপজলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, নিসচা জুড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফ, সহ-সভাপতি প্রভাষক লিটন রঞ্জন দত্ত, সাধারণ সম্পাদক মো: সিরাজুল ইসলাম জসীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মুহিবুর রহমান ও ক্রীড়া সম্পাদক ফখরুল আবেদীন রুবেল প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ২৯ বছর ধরে দেশব্যাপী সামাজিক কার্যক্রম করে আসছে। দেশ ও বিদেশে সংগঠনের ১২০টি শাখার স্বেচ্ছাসেবী সড়ক যোদ্ধারা রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার স্বীকৃতি স্মরূপ ২২ অক্টোবর জাহানারা কাঞ্চনের মৃত্যুর দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করেছেন, এ জন্য নিসচা কৃতজ্ঞ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।৫০ লক্ষ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে।
এশিয়ার দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশে প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যুহার ৫০% কমিয়ে আনতে প্রতিটি দেশকে তাগিদ দিয়েছে। নিসচা’র দাবীর প্রেক্ষিতে সড়ক দুর্ঘটনারোধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হয়, এতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিধিমালা প্রণীত হয়নি। যার ফলে আইনটি অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ কারণে প্রশাসন, আইন শৃংখলা বাহিনী সহ কেউই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া জাতিসংঘ সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ৫ পিলার চিহ্নিত করেছে যার মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিমুক্ত যানবাহন, সচেতন সড়ক ব্যবহারকারী অন্যতম। ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালানো ও শিশু আসন। স্মারকলিপির মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন দ্রুত পুরোপুরি কার্যকর করার দাবী জানান নিসচা নেতৃবৃন্দ।