‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে মহানগরীর শিববাড়ির মোড়ে র্যালী ও সমাবেশের আয়োজন করে নিসচার খুলনা মহানগর শাখা। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. সামিউল হক।
নিসচা খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ বাবুল হাওলাদার, দৈনিক কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, পাবলিক কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এম এ মান্নান বাবলু, জাতীয় নাগরিক কমিটি খুলনার প্রতিনিধি আহমেদ হামীম রাহাত, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিন এর শিক্ষার্থী আইমান আহাদ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম শিমুল, খেলাফত মজলিসের খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল্লাহ আজমি ডালিম, নিসচার মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমীন তালুকদার সোহাগ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ মেরাজ হোসেন, মো. আবু মুছা, অর্থ সম্পাদক আফজাল দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম হোসেন, দপ্তর সম্পাদক তানিয়া সুলতানা, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মিলন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহ নেওয়াজ, মো. হুমায়ুন কবীর, খোকন শিকদার, মোহাম্মদ জিয়াউল হক মিলন, এস এম নাজমুল হাসান, নাগরিক নেতা আজাদুল হক আজাদ, কাজী কামরুল ইসলাম, দি ফিউচার আইডিয়াল মাদার অর্গানাইজেশনের জালাল উদ্দীন, রফিকুল ইসলাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আক্তার আলী, সৈয়দ আব্দুল্লাহ, মো. ইয়াসিন, নিশীত মিস্ত্রী, খুলনাঞ্চল পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মোসলেহ উদ্দিন তুহিন, সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন, আবু হুরায়রা, হাসিব প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের এই দিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি প্রয়াত জাহানারা কাঞ্চনকে, যার আত্মত্যাগে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের সূচনা। দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিলো ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) নামে এই সংগঠনটি। নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিষ্ঠার এ ৩১ বছরের মধ্যে জনকল্যাণমুখী সংগঠন হিসেবে তার ব্যাপক কর্মতৎপরতায় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পেয়ে গেছে যথেষ্ট পরিচিতি।
সমাবেশে বক্তারা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পথপ্রদর্শক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় ইলিয়াস কাঞ্চনের অবদান অনস্বীকার্য। নিরাপদ সড়ক চাই এখন একটি সফল সামাজিক আন্দোলনের নাম। সড়ক দুর্ঘটনারোধে রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। গাড়ি চালানোর সময় চালকদের অবশ্যই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে যাত্রীরাও সচেতন হয়ে সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ প্রবণতা রুখে দিতে পারেন।
সমাবেশ শেষে র্যালি মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।