English

30 C
Dhaka
বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও অসম্মানের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিসচার প্রতিবাদ সভা

- Advertisements -

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা, ইতিহাসকে বদলে ফেলা এবং জাতীয় সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান ও তাঁর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে নিরাপদ সড়ক চাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে নিসচার কর্মিরা দাবি জানায় দ্রুত এর যথাযথা ব্যবস্থা গ্রহন যদি বর্তমান সরকার না করে তাহলে সামনের দিনে সারাদেশের সড়কযোদ্ধারা রাস্তায় নেমে আসবে নিজেদের অধিকার সংরক্ষিত রাখার জন্য। নিসচা কর্মিরা বলেন, আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনি, কোন হুমকিতে মাথা নত করিনি, আগামীতেও করবো না।

Advertisements

নিসচা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি বলেন, ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসটি এসেছে যার হাত ধরে যার কর্মের মধ্যদিয়ে সেই জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের দিনে সেই মানুষকে বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়ে দিবস পালন এটি জাতি হিসেবে লজ্জাকর একটি ঘটনা। কারো অবদানের প্রেক্ষাপটে কোন দিবস রচিত হলে তাঁকে নানা আয়োজনে সম্মান জানানো হয়, অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। যেহেতু ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ইলিয়াস কাঞ্চন এবং নিরাপদ সড়ক চাই-এর দাবি ও নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াসে এসেছিলো সে কারণে বিগত দিনে যে সরকারই ক্ষমতায় ছিলো এই দিবসে ইলিয়াস কাঞ্চনকে একটা সম্মান জানানো হতো। কিন্তু ব্যাতিক্রম ঘটে সরকারি অনুষ্ঠানে।

ইলিয়াস কাঞ্চনকে অনুষ্ঠানের সম্মুখ সারিতে বসিয়ে রাখা ছাড়া আর কোন সম্মান দেয়া হয়নি। এবং অনুষ্ঠানে নিসচাকে খাটো করে কতিপয় শিক্ষার্থীদের সম্মুখসারিতে তুলে এনে সেখানে তারা নিয়ে আসে ২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের কথা। আমরা নিসচা কর্মিরা মনে করছি এই শিক্ষার্থীদেরকে সরকারের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর ও পরিবহন সেক্টরকে যারা লুটেপুটে খেতে চায় তাদের একট পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। এবং তাদের চাপের মুখে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সেখানে কোন বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। আমরা এই ঘটনার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

Advertisements

সিনিয়র সহ সভাপতি মার্জানুল ইসলাম বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন জলে ভেসে আসা কোনো কচুরিপানা নয়। ইলিয়াস কাঞ্চন ৩১ বছর ধরে সংগ্রাম করে যাও এক অকুতোভয় দুঃসাহসী সৈনিক। ইলিয়াস কাঞ্চন একটি আন্দোলন ও সংগ্রামের নাম। ইলিয়াস কাঞ্চন একজন দেশপ্রেমিক,সড়ক যোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।সুতরাং ইলিয়াস কাঞ্চন কে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র, বৈষম্য দেশের আঠারো কোটি মানুষ মেনে নিবে না। ইলিয়াস কাঞ্চন কে নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। যেই মানুষ টি ফ্যাসিস্টের দুইবারের মন্ত্রীত্বের অফার ফিরিয়ে দিছে, সেই মানুষ আওয়ামীলীগ হতে পারে না। এদেশের সচেতন সমাজ ইলিয়াস কাঞ্চন ভালো করে চিনে, জানে।

যদি ইলিয়াস কাঞ্চনের দিকে আঙুল তোলেন, এদেশের সচেতন, দেশপ্রেমিক ছাত্র জনতা ফ্যাসিস্টের মতো তোমাদেরও এদেশে থেকে বিতাড়িত করবে।

সমাবেশ থেকে নিসচা কর্মিরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানান, নিরাপদ সড়ক চাই এই আন্দোলনটি ইলিয়াস কাঞ্চন- এর একার হলেও এটা এখন ১৮কোটি মানুষের প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে। এখন এটা সর্বজনবিদিত। যে স্বার্থন্বেসী মহল নিরাপদ সড়ক চাই এর ইতিহাসকে বদলে দিতে চায়। আমরা তাদের কঠিন বিচার চাই।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন