মোঃ শাকিল আহমেদ: ঢাকার অদূরে শুক্রবার (১৭ জুন) বেলা ১১ টার দিকে ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জিরাবো বাসস্ট্যান্ডে৷ নিরাপদ সড়ক চাই আশুলিয়া থানা কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্টো পথে গাড়ী চালানোতে বাঁধা দেওয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেনকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।নিরাপদ সড়ক চাই আশুলিয়া থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা,এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগ এর আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি জনাব শামীম হাসান ,মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, নিরাপদ সড়ক চাই আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি শাকিল আহমেদ, সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন নিরব, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন,ও আকলিমা সরকার, অর্থ সম্পাদক মকলেছুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ হাসান আলী, প্রচার সম্পাদক রিদয় হোসেন, সদস্য ইউসুফ আলী খানসহ প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির সকল সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে বেশীর ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা গাড়ী চালকদের গাফিলতির কারণে হয়ে থাকে। রাস্তায় যানজট তাদের কারণে হয়। ইমরান হোসেন নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি। প্রতীক সিরামিকস এর গাড়ী চালককে উল্টো পথে গাড়ী চালানোতে বাঁধা দেওয়ায় তার উপর গাড়ীতে থাকা প্রতীক সিরামিকস কারখানার কয়েক জন কর্মকর্তা হামলা ও টাকা পয়সাসহ মোবাইল ছিনিয়ে মারধর করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে হামলাকারী যেই হউক তাদেরকে আইনের আওতায় আানতে হবে এবং কঠিন শাস্তি দিতে হবে। যদি তাদেরকে আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে নিরাপদ সড়ক চাই কঠোর আন্দোলনে যাবে বলেও হুশিয়ারি করা হয়।
উল্লেখ্য যে গত সোমবার ১৩ জুন সকালে ঢাকার ধামরাই উপজেলা নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ ইমরান কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতীক সিরামিক কারখানার একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩-৩৪৬৮) উল্টো পথে যাচ্ছিলো। তার জন্য রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ইমরান গাড়ী চালককে বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে গাড়ীতে থাকা কোম্পানি কয়েক জন কর্মকর্তা ইমরানের উপর হামলা করে। তারা ইমরানকে মারধর করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায় এবং ইমরানের কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা পয়সা যা ছিলো তা কেড়ে নিয়ে ধামরাই থানার কালাম পুর নামক স্থানে ফেলে দেয়। পরবর্তী তে ইমরান এবিষয়টিকে থানায় জানায় এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।