বগুড়া জেলার বিভিন্ন সড়ক -মহাসড়কে দেখা যাচ্ছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। স্যালো মেশিনচালিত ইঞ্জিনে ধান মাড়াই করছেন ধান চাষিরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ পথচারীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে , অটো রিকশা, মোটরসাইকেল ও বাই-সাইকেল আরোহীরা।
সড়কের ওপর ধান শুকানো খড় শুকানোরোধে আজ সচেতনতামুলক প্রচারনা চালায় নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা কমিটি।
বগুড়া নওঁগা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে যেখানে কৃষকরা এই ধান মারাইয়ের কাজ করছেন সেখানে নিসচা বগুড়া জেলার সভাপতি রোটা: মোস্তাফিজার রহমানের নেতৃত্বে নিসচা জেলা শাখার কর্মিগণ কৃষকদের সচেতন করেন এবং সড়ক-মহাসড়ক থেকে তাদের উঠিয়ে বাড়ির উঠানে বা অন্যত্র কাজ করার আহবান জানান।
ব্যস্ততম এসব সড়কে ধান মাড়াই করার ফলে অনেকেই যাতায়াতে অসুবিধার মধ্যে পড়েন। ক্যাম্পেইন চলাকালে এক পথচারী বলেন, রাস্তায় ধান মাড়াই করার সময় আমি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ আমার চোখে খড়ের টুকরা পড়ে। পরে এর জন্য আমাকে ডাক্তার দেখাতে হয়েছে।
তবে সাধারণ পথযাত্রীদের অভিযোগ থাকলেও ধান মাড়াইকারীরা বলছেন, আমরা অল্প সময়ের জন্য রাস্তায় ধান মাড়াই করি। এতে সাময়িক একটু ক্ষতি হলেও আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই।
রাস্তায় ধান মাড়াই করছেন নাজমা বেগম তিনি বলেন, আমার জমি বাড়ি থেকে অনেক দূরে। আবার ধান মাড়াইয়ের মেশিনও বাড়ির ওদিকে যেতে চায় না। তাই উপায় না পেয়ে রাস্তায় ধান মাড়াই করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টির দিন সবস্থানে পানি কাঁদা নিরুপায় হয়ে আমরা রাস্তায় এসেছি। আমরা জানি এটা ঝুঁকি এরপরও আমাদের বাধ্য হয়ে এসব করতে হচ্ছে।
সড়কে চলাচলরত মোটরসাইকেল আরোহী ও ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সড়কটিতে ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কারনে প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে মধ্যে ছোট-বড়ো দুর্ঘটনাও ঘটছে।
ক্যাম্পেইন চলাকালে অনেকে সড়কের ওপর মেশিন বসিয়ে ধান মাড়াই এর কাজ বন্ধ করে অন্যত্র চলে যান এবং অনেকে এরকম কাজ আর করবেন না বলে নিসচা শাখার নেতৃবৃন্দদের কথা দেন।