বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বগুড়ায় নিহত শিক্ষার্থী শহীদ রাহাতুল এর পরিবারের সাথে নিসচা বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের সাক্ষাৎ ও নিসচার ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উপলক্ষে উক্ত পরিবারের হাতে নিসচার উপহার সামগ্রী এক মাসের বাজার প্রদান করা হয়। সহ সভাপতি মাহমুদ শরীফ মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম সোহাগ এর সঞ্চালনায় সৌজন্য সাক্ষাত কালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। নিহত শিক্ষার্থী শহীদ রাহাতুল এর পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন টিআই সালেক।
এসময় শহীদ রাহাতুলের বাবা মা দাবি জানান তার সন্তানের নামে যেন একটি সড়কের নাম করন ও তার কবর যেন সরকারি ভাবে পাকাকরণ করা হয় নিসচার নেতৃবৃন্দদের দ্বারা তারা সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানান।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলো বগুড়ার শিশু শিক্ষার্থী জুনায়েদ ইসলাম রাতুল। মৃত্যুর সঙ্গে ৪৮দিন পাঞ্জালড়ে অবশেষে হেরে যায় সে। রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে রাতুল।
বগুড়া উপশহরের হাকির মোড়ের বাসিন্ধা ছিলো রাতুল। ওখানে সে বাবা, মা ও বড় বোনের সঙ্গে থাকতো। উপশহরের পথ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো রাতুল। গত ৫ আগস্ট বিকেলে রাতুলের বড়বোন কলেজ ছাত্রী জেরিন ও ভগ্নিপতি আমির হামজা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেয়। মায়ের বারণ সত্বেও রাতুল নাস্তা না করেই ওদের সঙ্গে গিয়ে স্লোগান দিতে-দিতে বগুড়া সদর থানার অদুরে বড়গোলার কাছে পৌঁছায়। জেরিন জানান-তার পাশেই ছিল রাতুল। হঠাৎ পুলিশের ছোড়া চারটি ছররা গুলি এসে লাগে রাতুলের গায়ে, এরমধ্যে একটি লাগে তার মাথায়। গুলিটি তার বাম চোখের মধ্যে দিয়ে মাথার মগজে ঢুকে পড়ে।
এরপর পুলিশের ছোড়া আরো অর্ধশতাধিক গুলি লাগে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে অজ্ঞান থাকা অবস্থায় রাতুলকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে চিকিৎসকরা তাকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিওরোসাইন্স হাসপাতলে নিতে বলেন। ৪৮ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে কোমল শিশু রাতুল।
উপহার প্রদান সময়কালে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহিম, দপ্তর সম্পাদক ইমরান তালুকদার নিপু, লতিফুর রহমান, আরমান হোসেন ডলার, আবু রায়হান, আককাস আলী, মমিন, আমিন ইসলাম।