তেলের দামও তারা বাড়িয়েছে। আবার একটা নাটুকে ধর্মঘট করে, জনগণকে ভোগান্তি দিয়ে, সিন্ডিকেট করে তারাই আবার ভাড়া বাড়িয়েছে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে। আপনারা কি মনে করেছেন, এর ফলে শুধু পরিবহনের ভাড়া বেড়ে গেল? নিশ্চয়ই না, পত্রিকা মারফত জানলাম, ইতিমধ্যেই চালের দাম বাড়ার ইংগিত দিয়েছেন রাইস এজেন্সির লোকেরা। ঘটনা খুব পরিষ্কার, ট্রাকের ভাড়া বেড়ে গেছে। মানে পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে গেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের উপর এর স্পষ্টতই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সংসার চালানোতে আরও হিমশিম খেতে হবে সাধারণ মানুষকে। মৌলিক চাহিদা পূরণে আবারও কাটছাঁট করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
কৃষকের অবস্থা তো আরও বেশি শোচনীয়। কেননা কৃষকদের কৃষি উৎপাদনের একটা বড় খরচ হল সেচ কাজ। সেচের জন্য ডিজেল ব্যবহৃত হয়। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য পরিবহনের খরচও বেঁড়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। বিদ্যুতের উপরও প্রভাব পড়বে। আর আমরা যারা আপামর ভোক্তা আমাদের উপর অতিরিক্ত একটা চাপ তৈরি হয়ে গেলো কারণ সাধারণ মানুষের বেতন বা মজুরি কোনটাই তো বাড়েনাই। আর করোনা তো গরীবকে আরও হতদরিদ্র করে ফেলেছে।
এগুলো স্রেফ জুলুম। এই জুলুমের বিরুদ্ধে আপনি প্রতিবাদ করবেন নাকি মেনে নিয়ে আরও জুলুমের পথ করে দিবেন সে প্রশ্নটাই রাখলাম।
জনগণের উপর এই জুলুমের বিরুদ্ধে সকলকেই, নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ করা দরকার।
দাম কমাও, জান বাঁচাও
লেখক: নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন