শাহ হুমায়রা সুবাহ: একটা মানুষের যখন ব্রেকআপ হয় তখন সে এতটাই ডিপ্রেশনে চলে যায় যে, অনেকেই আত্মহত্যা করে বসে সামান্য প্রেমের সম্পর্কের কারণে! সেখানে আমি সুবহা এতো কিছুর পরে নিজের জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখে ঘর বেঁধেছিলাম, বিয়ে করেছিলাম। সেইটা ২ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে গেল।
ঘরোয়াভাবে হলেও সব রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী হলুদ-মেহেদি ও রেজিস্ট্রি-কাবিন সব করেই বিয়েটা হয়েছিল আমাদের কিন্তু সেটা যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে কখনও কল্পনা করিনি আমি! দুঃস্বপ্নের মত লাগছে আমার কাছে ওই ঘটনার পরে কত যে কেঁদেছি। মানুষের সামনে এবং আড়ালে সেটা আমার চোখ দু’টি ভালো সাক্ষী দিতে পারবে।
প্রতিটা মানুষেরই বিপদে পড়ে দেখা উচিত কে কে তার দুঃসময়ে পাশে থাকে, আমার এই বিপদের সময় অনেকেই আমার পাশে ছিল এবং আছে ওই জন্য হয়তোবা আমি এত স্ট্রং আছি, বেঁচে আছি। কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আমি যখনই ভাবছি হঠাৎ করে এত আয়োজন করে বিয়ে হল! এইভাবে চোখের পলকেই বিশ্বাসঘাতকের জন্য শেষ হয়ে গেল আমার সবকিছু। স্বপ্ন ভেঙে গেল আমার।
আমি পুরা ট্রমার মধ্যে আছি মানসিকভাবে সবকিছু এলোমেলো লাগছে কি করে একটা মানুষ এত বিশ্বাসঘাতক হতে পারে? কি করে একটা মানুষ এত বিবেকহীন হতে পারে? সেই লোকটার কাছে বিয়েটাও একটা মজা, বিয়েটাও একটা খেলা ও বিয়েটাও একটা বিজনেস। শুধু অপেক্ষায় আছি এই মিথ্যা সম্পর্কের বাঁধন থেকে কবে ছুটি নিয়ে মুক্তি দিতে পারব নিজেকে।
তবে আমার কাছের কিছু আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আছে তারা আমার লাইফে ফেরেশতার মতো আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে, তাদের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব তারা না হলে আজ আমি বেঁচে থাকতাম না আমার মত খারাপ সময় কারও যেন জীবনে না আসে। মানুষ শুধু গায়ের আঘাতের চিহ্নগুলো দেখে কিন্তু মনের ভিতরে যে রক্তক্ষরণ হয় কারো চোখে পড়ে না… চোখে পড়ে যারা আমার আত্মার আত্মীয় পরম বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আমার মায়ের- আল্লাহ তাদেরকে সব সময় ভালো রাখুক আর তাদেরকে যেন আমি এভাবেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার জীবনে পাশে পাই, আমিন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)