অনেক বছর আগের কথা। কলেজ লাইফের পরপরেই বাবার কিনে দেয়া পুরাতন বাইসাইকেল ফেলে মোটরবাইকের দিকে চোখ পড়ে গেছে তখন। আমার এক মামার বাইক ছিল। উনি ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেলেন।
খিলখিল করে হাসির শব্দে উপরে তাকিয়ে দেখলাম পাশের বিল্ডিং এর ছাদের উপর সুন্দরীরা হেসেই যাচ্ছে। তখন বুঝলাম কেন ভোম্বল আমাকে না তুলে পথচারীর মত হেটে যাচ্ছিল। যেন কেউ বুঝতে না পারে, ভোম্বল আমার সাথেই ছিল। ইজ্জতের পাংচার যা হবার তা তো হয়েই গেছে। প্রতিশোধ নিলাম ইজ্জত পাংচারের। এরপর আজ পর্যন্ত আর মোটরবাইক চালাইনি। এ জিনিস ইজ্জতের সাথে জীবনও মারে।
দুই চাকার যে জিনিস সামান্য কলার ছালের উপর পড়লে পঞ্চাশ হাত ছিটকে যায়, সেটা যখন ভয়াবহ গতির সাথে পাল্লা দিয়ে চলে, তখন সেটা অকালে জীবন কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। আশা করি বাবা মায়েরা বুঝতে পেরেছেন, কী বলতে চেয়েছি। প্লিজ বড় না হওয়া পর্যন্ত আপনার সন্তানের হাতে বাইকের চাবি দিয়ে মৃত্যুকে অতি সহজে ডেকে আনবেন না। সবক্ষেত্রেই ম্যাচিউরিটির দরকার আছে। দুর্ঘটনায় পড়া আর বন্ধুদের নিয়ে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা এক নয়।
অনেক বাবা মা বলেছেন, তারা অক্ষম, তাদের সন্তানের দাবির মুখে। তাই নিয়ন্ত্রণ করুন সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই। তাহলে আর তাদের কাছে জিম্মি হতে হবে না। মাথা চাপড়িয়ে বিলাপ করার আগেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন প্লিজ। প্রতিদিন অসংখ্য সন্তান হারাচ্ছি আমরা এই বাইক দুর্ঘটনায়। ঢাকা শহরের এই যানজটপূর্ণ রাস্তায়ও দেখি অনেক পোলাপান মনে হয় প্লেনের ইঞ্জিন লাগিয়ে বাইক চালাচ্ছে। হেসে মনে মনে বলি, আহারে পোলাপান, আহারে বাপ মা’।
– মাহবুব কবীর মিলনের ফেসবুক পোস্ট