লাকী আক্তার: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী মাইশা রাস্তায় মরে গেল। ভিডিওটি দেখে আমি এক প্রকার শিওরে উঠলাম। সাধারণ মানুষের কোথাও কোনো নিরাপত্তা নাই। সাম্প্রতিককালে অনেক সাধারণ মানুষের সাথে সাথে প্রচুর শিক্ষার্থীদের প্রাণও ঝরছে সড়কে।
খোঁজ নিলেই দেখবেন যে সড়কের যানবাহনের লাইসেন্স নাই, সেটার তোয়াক্কাও কেউ করেন না। আবার কেউ কেউ মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে চলেন। তাদের বাঁচানোর জন্য বহু কর্তাব্যক্তিরা আছেন। রাস্তায় গাড়ি চালান অথচ ন্যূনতম সহনশীলতা নাই। মাইশাকে যেই কাভার্ড ভ্যান চাপা দিল তার ছিল হালকা যানের লাইসেন্স অথচ সেই চালক চালাচ্ছিলেন ভারি যান।
এগুলো দেখার কেউ নাই। এদের শাস্তির দাবি করে লড়াই আমরা করি। তারপর আর এদের শাস্তিও হয় না। বহু আন্দোলনে যদি শাস্তিও হয়, সেই শাস্তি যাতে বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য তারা সিন্ডিকেটবাজি করে। কখনও কখনও যান চলাচল বন্ধ করে সাধারন জনগণকে অচল করে দেন। প্রতিবাদের শাস্তি হিসেবে তারাই আবার জনগণকেই শাস্তি দেন।
সড়কের এই নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খলা নতুন নয়। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এইরকম নৈরাজ্য মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে। পুরো মাফিয়া রাষ্ট্র এটা। এই মাফিয়ারাষ্ট্রেই প্রতিদিন সড়কে মানুষ খুন হচ্ছেন। এই মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)