রাজশাহীতে এক সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে ‘বেকুব’ বলেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংসদ শাজাহান খান। ইলিয়াস কাঞ্চনের জীবন পর্যালোচনা করে আমরা এমন অনেক কারণ খুঁজে পেয়েছি যেসব কারণে ইলিয়াস কাঞ্চনকে আসলেই বেকুব বলে মনে হয়!!
১# ইলিয়াস কাঞ্চন অবশ্যই একজন মস্তবড় বেকুব, না হলে আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বছরের পর বছর কেউ রাস্তায় পড়ে থাকে? শ্রমিকদের গালি খায়?
২# বেকুব বলেই ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন না যে, গরু ছাগল চিনতে পারলেই লাইসেন্স দেয়া যায়। বেকুব না হয়ে একটু বুদ্ধিমান হলে ঠিকই এ ধরনের কথা তিনি বলতেন।
৩# ক্ষমতাশালী মানুষদের চক্ষুশূল হয়েও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে বছরের পর পড়ে থাকেন তিনি, পিছপা হন না। বেকুব ছাড়া কেউ কি এমন করে বলেন?
৪# বেকুব না হলে তো ইলিয়াস কাঞ্চন শ্রমিক ইউনিয়নের একটা পদ বাগিয়ে নিতেন। শ্রমিকদের সকল ধরনের অন্যায় সুবিধা দিয়ে কিংবা ন্যায্য সুবিধা না দিয়ে নিজের পকেট ফুলাতেন।
৫# লোকটা মাইক হাতে নিয়ে রোদে পুড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরেন। অথচ মাইক থেকে ‘ওমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র’ স্লোগান আসে না। আসে নিরাপদ সড়কের জন্য নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর আহবান। একটু চালাক হলে তো উনি প্লেনে চড়ে, এসি রুমে শুয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতেন। একটা প্রচার ভ্যানও পেতেন, হেঁটে হেঁটে মাইকিং করা লাগতো না।
৬# একটু বুদ্ধি থাকলে ঢাকা শহরের একধিক সিটি বাস কোম্পানির মালিক থাকতেন ইলিয়াস কাঞ্চন কিংবা তার শালা। বেকুব বলেই লোকটার এমন কিছু নাই।
৭# সড়ক দূর্ঘটনায় মানুষ মরে, আর লোকটা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। বেকুবই তো! অন্যান্যদের মত একটু বুদ্ধিমান হলে এমন মৃত্যুর খবরে দার্শনিক জনরার মুচকি হাসি দিতেন।
৮# বেকুব লোকটা নিরাপদ সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করে আরো কঠোর করতে চান, যাতে দুর্ঘটনার পরিমান কমে। আর খান গালি। অন্যান্যদের মত বুদ্ধিমান হলে আইনটিকে আরো সহজ করার দাবি তুলে ফুলের মালা পেতেন।