সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ যে পাচক তাঁর রান্নাও কখনো কখনো মনমতো হয় না! একই স্বাদেরও হয় না! বিয়ে বাড়ির খাওয়া শেষে প্রথমেই যে কাজটি আমরা করি, আহা রোস্ট একদমই মজার হয়নি! রেজালায় তেল বেশি হয়েছে! আরে ঘ্রাণ দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছে যেন খেতে না পারি! দাঁত থেকে মাংশের আঁটকে থাকা খণ্ডিতাংশ বের করতে করতেই আমরা এভাবে বদনাম গেয়ে বেড়াই! এই সৃষ্টিশীল চর্চা যতটা সুন্দর করে আমরা করে যাই, তা আর অন্য কোনো দেশের অধিবাসীগণ এত শৈল্পিকতার মিশেলে করতে পারেন কিনা তা আমার জানা নেই!
চারিপাশে সমালোচনা! কাজের প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা ক্রিয়া নির্ধারণ করে ফেলি, কি দুর্ভাগা আমরা হায়! সঠিকতার নির্ধারণ সকলে যার যার অবস্থান থেকে করে ফেলেন! এই স্ট্যান্ডার্ড সেট করার মত স্ট্যান্ডার্ড কারো আছে কিনা, সেদিকে ভ্রূক্ষেপই নেই কারো! এভাবেই এগিয়ে চলছে..! যে যার বিষয়ে দক্ষ তাঁর চেয়েও বেশি জানেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য বিষয়ের বিশেষজ্ঞ! সেটা আবার যেহেতু সবাই মিলে গেলবার সংস্কৃতি তৈরি হয়েই গেছে, তাই সর্বাধিকের কাছে তাহা সঠিকই ঠেকে।
শেষ প্রহরে এসে আমাদের কারো কারো স্মরণে আসে, আহা কি করিলাম! আহা উহা তো ঠিক হয় নাই! এই আহা, উহু শেষ প্রহরে না করে প্রথম থেকেই সচেতনতা অবলম্বন করলে, জীবন অনেক সুন্দর ও মসৃণ হতে পারে! অবশ্য কারো কারো সেই উপলব্ধিও আসে না, মস্তিষ্কের যথার্থ ব্যবহার নেই কিনা!
পাচককে তাঁর নিজের কাজ বুঝতে দিন, পাচকের কদাচিৎ খামতি পাচকের একার নয়! পরিবেশ ও অন্যান্য মসলার মত প্রভাবকও এতে জোরালো ভূমিকা পালন করে, সেটি বুঝতে পারলে ভাল! না পারলে আপনার চর্চা অব্যাহত রাখুন। আপনার আগামী প্রজন্ম একই শিক্ষায় শিক্ষিত হোক, সেটি আপনার চাওয়া হলে অন্য কারো তো সুযোগ নেই তা আটকানোর!
(এই এলোমেলো কথনের সাথে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার মিল খুঁজবেন না যেন!)
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : এডিসি, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর।