মৌসুমীর জীবনের সেরা ব্যবসা সফল ছবিগুলোর বেশ কয়টির নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। নায়ক হিসেবে কাঞ্চনও মৌসুমীকে নিয়ে জুটি বেঁধে ক্যারিয়ারের শেষদিকেও ইন্ডাস্ট্রি মাতিয়েছেন।
এই জুটির ছবির মধ্যে আদরের সন্তান, শেষ রক্ষা, ভাংচুর, আত্মত্যাগ, স্বজন, রাজার ভাই বাদশা, অন্ধ ভালবাসা, সুখের ঘরে দুঃখের আগুন ও গোলাগুলি অন্যতম। মাঝপথে মৌসুমীর বিয়ের পর কাঞ্চন-মৌসুমী জুটিটি ভেঙ্গে যায়। জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার একাধিক কারণ ছিলো বলে দাবি করেন চলচ্চিত্র পরিচালকেরা। তবে তারা অনেকেই মনে করেন, ইলিয়াস কাঞ্চন-মৌসুমী জুটির প্রতিটি ছবি যেভাবে ব্যবসা সফল ও দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল যদি নিয়মিত এই জুটি নিয়ে ছবি নির্মাণ হতো তাহলে নব্বইয়ের দশকের দর্শকরা আরো কিছু সেরা ছবি উপহার পেত।
এযাবৎ মোট ১৩টি ছবিতে জুটি বাধেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও মৌসুমী। এই ১৩টি ছবির নাম দিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের এক ভক্ত মো: জুয়েল ছোট্ট একটা চিঠি লিখেছেন। পাঠকদের জন্য চিঠিটি তুলে ধরা হলো:
বাবা আমি তোমার একমাত্র “আদরের সন্তান”। আমি তোমার পছন্দের ছেলেকে বাদ দিয়ে “রাজার ভাই বাদশা “ কে বিয়ে করব। কারণ তোমার পছন্দের ছেলে ছিল একটা “ভন্ড প্রেমিক “ আমার “ভালোবাসার শক্র “।আমি তোমার মেয়ে তাই তোমার সাথে আমার রয়েছে “রক্তের অধিকার “ এবং আমাকে বড় করার পিছনে তোমার “আত্নত্যাগ “ভোলার নয়। তবুও যাকে আমি ভালোবাসি সে আমার “অন্ধ ভালোবাসা” আমার “স্বজন”। তুমি রাজি না হলে তোমার “সুখের ঘরে দুখের আগুন” জ্বালিয়ে দিব এবং সব কিছু “ভাংচুর ” করে দিব। কাজেই আমি তোমার সাথে কোন “গোলাগুলি “ করতে চাইনা। জানি আমাদের এই প্রেমকে তুমি “শেষ রক্ষা “ করে হলেও আটকাতে পারবে না। আরও জানি আমি মরে গেলে আমাদের এই ভালোবাসাকে কেউ মনে রাখবেনা, শুধু “মনে রেখ পৃথিবী” আমাদের এই ভালোবাসাকে তাতেই শান্তি আমার।
অসাধারণ বানিয়েছে ছন্দ মিলিয়েছে কবিতা
আমাদের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন