বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু তৈরি হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। চলমান এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ড. যশোদা জীবন দেবনাথ সিআইপি।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেলযোগাযোগ স্থাপনের জন্য পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, তিস্তা সেতু, পায়রা সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতুসহ শত শত সেতু, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ করেছে সরকার।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন,এক পদ্মা সেতু দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে সড়ক পথে ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুর যেতে সময় লাগত ৪/৫ ঘন্টা, এখন ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে আসা যায়। তাই আমি মনে করি এই জায়গায় শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে করে অনেক ফরিদপুরবাসীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এটি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
এই সেতুর ফলে দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, কৃষক ফসলের ন্যায্যম্ল্যূ পাচ্ছে। ছয় মাসে ২৮ লাখ গাড়ি পারাপার হয়েছে, এতে সরকারের আয় হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই এই উন্নয়ন সম্ভব।
গত নভেম্বরে একদিন ১০০ সেতু এবং ডিসেম্বরে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা হয়। দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে এ এক অনন্য অর্জন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার পথে সরকার, স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষিসহ সব সেক্টরকে ‘স্মার্ট করা হবে।
মহামারি-সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা প্রশানিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ততকালীন ফরিদপুর জেলা টঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। ফরিদপুরে প্রায় ১৮ শতাংশ সনাতন ধর্মালম্বী বসবাস করে। জামায়েত-বিএনপির সময় ফরিদপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কঠিন সময় পার করেছে। এই বিষয়টি চিন্তা করে এই জেলার নিট এন্ড ক্লিন ইমেজের মানুষ দরকার যা আমি ইতিমধ্যে বিবেচিত হয়েছি। আমি ফরিদপুর জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আস্থার জায়গায় রয়েছি।
এই জেলার অনেক নেতাকর্মীরা টেন্ডারবাজি করছে। উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা সাধারণ ম্নষের দৌরগড়ে পৌঁছে দিতে পারছে না। অপূরণীয় কাজগুলো করতে জনপ্রতিনিধি হওয়া প্রয়োজন। তাই আমি প্রত্যাশা করছি আমাদের মানবতার নেত্রী আমাকে যোগ্য মনে করে আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে শতভাগ সফল হব।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, সিআইপি বাবা-মায়ের কোল আলো করে ২৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার ধোপাডাঙ্গা চাঁদপুরের অজপাড়াগাঁয়ে এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দুই মেয়ের পরে প্রথম পুত্র সন্তান, তাই বাবা-মা তাকে আদর করে ‘জীবন’ বলে ডাকতেন। তার বাবার নাম প্রয়াত গোপাল চন্দ্র, তার মায়ের নাম শোভা রানী দেবনাথ, তার স্ত্রীর নাম সোমা দেবনাথ। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
বাবা-মা ও তার পাঁচ ভাই-বোনের সংসার, যেখানে অভাব ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। অভাবের সংসার, তাই অন্যের দোকানে কর্মচারী, লজিং মাস্টার থেকে এবং টিউশনির পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা এইচএসসি এবং গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন ফরিদপুর রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার লেখাপড়ার সমাপ্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ইউএসএ থেকে ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্স-এর উপরে ডক্টরেট ডিগ্রি এবং এন্ডাসগেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউরোপিয়ান প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করার মাধ্যমে। ৬ বছর বাংলাদেশের স্বনামধন্য দুটি আইটি কোম্পানিতে চাকরি করার পর তিনি নিজেই ২০০১ সালে আইটি ব্যবসা শুরু করেন টেকনোমিডিয়া লিমিটেড নামে আমেরিকা বেজড্ একটি এটিএম কোম্পানি এনসিয়ার করপোরেশনের সঙ্গে।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ জীবনে অনেক বই লিখেছেন। এই লেখালেখির কাজ তিনি প্রতিনিয়তই অব্যাহত রেখেছেন। তার বইয়ের তালিকায় রয়েছে- ১. মহানায়কের ইতিকথা, ২. জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, উন্নয়ন, ৩. জীবন থেকে নেওয়া, ৪. পূর্ব পাকিস্তানের ভারতে গোপন নৌযুদ্ধের অপ্রকাশিত গল্প ১৯৭১ অপারেশন, ৫. জীবনপ্রদীপ জে¦লে, ৬. ফরিদপুরের মুক্তিযুদ্ধ, ৭. একটি তর্জনীর আত্মকথা।
রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
তিনি ২০০১ সালে টেকনোমিডিয়া লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৬ থেকে প্লাস্টিক কার্ড আইডি লিমিটেডের পরিচালক, ২০১১ সাল থেকে প্রোটেকশন ওয়ান (পিভিসি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ২০১২ সাল থেকে রাজেন্দ্র ইকো-রিসোর্টের পরিচালক, ২০১২ থেকে ইমপ্রুভমেন্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড পরিচালক, ২০১৩ সাল থেকে মানি প্ল্যান্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-সিইও, ২০১৩ সাল থেকে টেকনো কনফিডেন্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ২০১৫ সাল থেকে ডাল্টা ফোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)-এর পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে পে ইউনিয়ন বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে শামপুর সুগার মিল লিমিটেডের পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে ব্যাংকিং লিজিং এন্ড সিক ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই)।