জাতীয় সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ১৫মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা পড়ান নগরকান্দা মদিনাতুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ইসমাতুল্লাহ কাসেমী।
সাজেদা চৌধুরী ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে।
সাজেদা চৌধুরী ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্লস গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে। তাঁর পিতা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেসকো ফেলোশিপ পান। একই সময় তিনি বাংলাদেশ গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ ‘সিলভার এলিফ্যান্ট’ পদক লাভ করেন। ২০০০ সালে তাঁকে ‘ওমেন অব দি ইয়ার’ নির্বাচিত করে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কাণ্ডারির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ অন্যান্য নেতারাও।