নাসিম রুমি : শহিদুল হক খান। দীর্ঘ চার বছর ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে যাওয়া এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গতকাল (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১ টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)।
সাংবাদিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, নাট্য নির্মাতা (টেলিভিশনের প্রথম প্যাকেজ নাটক উনারই নির্মান করা), উপস্থাপক, ম্যগাজিন অনুষ্ঠান নির্মাতা, গীতিকার এবং একজন সংগঠক শহিদুল হক খান ১৯৪৮ সালের ১১ নভেম্বর, মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। গীতিকার হিসেবে তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বলা যেতে পারে বহুমুখী প্রতিভার একজন মানুষ।
পাশাপাশি নতুন চিন্তায় বলিয়ান একজন উদ্যোমী মানুষ। সংস্কৃতি ভুবনের মর্যাদাবান পুরস্কার “নাট্যসভা’ পদক। এটির সংগঠক তিনি। এ দেশে পহেলা বৈশাখ রমনা বটমুলের পাশে, পান্তা-ইলিশ খাবার প্রচলন করেন তিনি, যা কয়েক বছরের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন যেন এটা সংস্কৃতির একটা অংশে পরিনত হয়েছে। চার বছর আগেই তাঁর দেহে ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। তিনি দমে যাননি। চিকিৎসা চালিয়ে যাবার পাশাপাশি লিখেছেন, ছবি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, আবার এমন অসুস্থতার মধ্যেও কৃতি মানুষদের স্মরণে আয়োজন করেছেন নানান অনুষ্ঠান। তবে মনের দিক থেকে অদম্য থাকলেও, মাস দেড়েক আগে থেকে তিনি পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন এবং ক্রমশ তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মনের শক্তি দিয়ে জীবনের সঙ্গে লড়াই করে, অবশেষে হেরে গেলেন শহিদুল হক খান। আজ (২০ এপ্রিল) তাঁর মরদেহ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে তাঁকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। মহান আল্লাহ যেন তাঁর সকল গুনাহ মাফ করেন এবং তাঁকে বেহেশত নসীব করেন।