একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি ও লেখক এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি ও সচিব মো. বদরুল আরেফীন।
প্রতিমন্ত্রী ও সচিব আজ পৃথক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, আশির দশকে জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি তাঁর কবিতা ও কর্মে মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রগতিশীলতাকে তুলে ধরেছেন যা পাঠকমহলে বেশ সমাদৃত হয়েছে। হাবীবুল্লাহ সিরাজী তাঁর সৃজনশীলতা ও কর্মের মধ্য দিয়ে লেখক ও পাঠকমহলে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
উল্লেখ্য, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী (৭৩) সোমবার (২৪ মে) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীস্থ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পদ্য-গদ্য মিলিয়ে হাবীবুল্লাহ সিরাজীর গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৫০টির অধিক। লিখেছেন উপন্যাস, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথাও। কবিতার জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯১ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯), বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭), রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০), মহাদিগন্ত পুরস্কারসহ (২০১১) বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।