সড়ক দুর্ঘটনারোধে আগামী প্রজন্মকে সচেতন করতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের সহযোগীতায় ৩১ অক্টোবর ২০২২ সোমবার সকাল দশটায় চট্টগ্রামের ওয়ার্লেস ঝাউতলা কলোনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাপনী শিক্ষার্থী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিটন এরশাদ মহাসচিব নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটি, আরও ছিলেন কমিশনার ওয়াসীম উদ্দিন চৌধুরী, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল মোস্তফা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দীন, সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর নিসচা সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর নিসচা সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীব।
আরো উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-মহাসিচব- লায়ন গণি মিয়া বাবুল, অর্থ সম্পাদক-আসাদুর রহমান, জাতীয় নিরাপস সড়ক দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব- রোকনুজ্জামান রোকনসহ- সাংগঠনিক সম্পাদক-আব্দুর রহমান, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক – মোঃ মহসিন খান নির্বাহী সদস্য- এ.কে আজাদ,কাউয়ুম খান , নুরুল হুদা ও আব্দুর রাজ্জাক।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২ উদযাপনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের সহযোগীতায় তিন মাসব্যাপী চট্টগ্রামে পালন করে নানা কর্মসূচি।
সড়ক দুর্ঘটনারোধে আগামী প্রজন্মকে সচেতন করতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের সহযোগীতায় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় তিন মাসব্যাপী পর্যায়ক্রমে ২১৩টি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে শিক্ষার্থী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও পালিত কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা জারির দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, চালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ, অভিভাবক সমাবেশ, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, সুধী সমাবেশ, গোলটেবিল আলোচনা, সেমিনার, ট্রাফিক ক্যাম্পেইন, র্যালী, বাস টার্মিনালে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমাবেশ ও সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান, সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ সহ সড়কে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে সতর্কতামূলক প্রচার কর্মসূচি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সচেতনতা ও সতর্কতার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব। এতে আমরা নিজেরা যেমন সড়কে নিরাপদ থাকবো তেমনি শিশু, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য প্রিয় মুখ সবাই নিরাপদ থাকবে আর আমাদের দেখতে হবে না রাস্তায় স্বজন হারানোর আহাজারি। তাই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক, পথচারী ও যাত্রীদের মধ্যে বেশি সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা এবং আইন-কানুন মেনে চলার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাম্পেইন করা দরকার। ক্যাম্পেইন, পোস্টার-ব্যানার প্রদর্শনী আয়োজন করতে হবে। নিয়মিত এই ধরণের কার্যক্রম চলমান থাকলে শিক্ষার্থীরা এই বিষয়গুলোর নিয়মিত অনুশীলন করবে। তাদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতাও ধীরে ধীরে তৈরি হবে।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ট্রাফিক আইন নিয়ে সচেতনতার অভাব ও আইন না মানার অভ্যাসও শিক্ষার্থীদের অসচেতনতার একটি অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
তার মতে, একজন শিশু যখন দেখবে যে তার অভিভাবক ট্রাফিক আইন মানার ব্যাপারে উদাসীন, তখন সে নিজেও সেসব আইন মানার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে না। আইন না মানার এই প্রবণতাই এক সময়ে অভ্যাসে পরিণত হয় বলে মনে করেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সচেতন করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্যও প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, সেমিনারের মত অনুষ্ঠান আয়োজন করার আহবান জানান তিনি।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন তার বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় সঠিক ভাবে হাটার নিয়ম শেখান ও নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।