আজ বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নবনির্মিত চারটি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে সড়ক পার হতে পারেন। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিতে পারে। তাদের নিজেদের লোক থাকতে হবে যারা শিক্ষার্থীদের সড়ক পারাপারে সাহায্য করবেন। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশও থাকবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে ছেলে-মেয়েদের শেখাতে হবে। যাতে তারা এ বিষয়ে সচেতন হতে পারে। পথচারীরা সতর্ক থাকলে সড়ক দুর্ঘটনা কম হবে। মোবাইল কানে নিয়ে সড়ক পার হওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আহবানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দেশের সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে নিসচা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে সোচ্চার আজ এই বিষয়ের ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বআরোপ করেছেন এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দেশের সর্বচ্চো ব্যাক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যখন এই আহবান এসেছে নিশ্চয় এটা একটা কার্যকর রূপ ধারন করবে। এবং এই রূপ ধারন করার জন্য দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কার্যকর ভুমিকা পালন করতে হবে।
প্রত্যেক স্কুলে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ও সড়ক নিরাপদ করে তোলার বিষয়ে কর্মসূচি থাকতে হবে এবং পাঠ্য থাকতে হবে। কর্মসূচি এবং পাঠ্যর বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন দাবি করেছেন, প্রয়োজন বোধে ট্রাফিক আইন যারা নিয়ন্ত্রণ করেন সরকারি পর্যায়ের ট্রাফিক বিভাগও যেন প্রধানমন্ত্রীর এই আহবান বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন। সেই সাথে তিনি সড়কের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। এবং সড়ক পরিবহন আইন এর বিধিমালা প্রস্তুত করত পূর্ণ বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন কে ধন্যবাদ।
নিরাপদ সড়ক সময়ের দাবী
এ কথাটি মোরা সবাই ভাবী।।
নিরাপদে চলি পথ
সবাই হয়ে একমত।।
পাঠ্য পুস্তকে চাই ট্রাফিক আইন
নিরাপদ সড়ক জীবনের জয়গান।।