গণভবনকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই যাদুঘরের পাশাপাশি গণভবনের একটি অংশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহত পরিবারের জন্য আবাসন সুবিধা চাইলেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। আজ এক ফেসবুক লাইভে এসে তিনি দেশের সার্বিক ব্যাবস্থাপনার ওপর বক্তব্য প্রদান করেন এবং সেখানে তিনি এই দাবিটি তুলে ধরেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আহতদের সঠিক তালিকা তৈরী করতে হবে। এবং নিহত আহতদের পরিবারের জন্য গণভবনের একটি অংশে দশ তালা বিশ তালা বিল্ডিং বানিয়ে সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তিনি বলেন ২০২৪ সালের আন্দোলনের পর গণভবনে যাদুঘর যেমন নির্মাণ হবে সেখানে এই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য আবাসন ব্যাবস্থাও ঐ আন্দোলনের একটি প্রতিক হবে এবং জাদুঘরের একটি পার্ট হবে।
ইলিয়াস কাঞ্চন উল্লেখ করে বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের কথা বলছিনা এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছে শুধু মাত্র তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এই আবাসন ব্যাবস্থাটি যেন করা হয়। যা বাংলার ইতিহাসে একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪২৩ জন নিহত হয়েছেন। এবং আন্দোলন ঘিরে ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৮৭ জনের অঙ্গহানি হয়েছে। গুলি লেগে আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৬৮৫ জন। ৯২ জনের দুই চোখেই গুলি লেগেছে, দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।