দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে নেওয়া ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ সরকারিভাবে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালিত হচ্ছে। কিন্তু একটি মহল বিষয়টি অস্বীকার করছে। ‘২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে আন্দোলন, তারও আগে থেকে ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, তাদের দাবির ভিত্তিতেই নাকি জন-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এর আগে নাকি নিরাপদ সড়কের জন্য মানুষের কোনো আকাঙ্ক্ষা ছিল না।’ আজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন বক্তব্য শুনে সভা বয়কট করে চলে যান নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাসকে উপেক্ষা করা ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে তিনি আজকের সরকারী অনুষ্ঠান বয়কট করে নিজের অবস্থান তুলে ধরে নিজ কার্যালয়ে তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন সারাদেশে থাকা তার নিরাপদ সড়ক চাই এর ১২০টি শাখাকে নিজ এলাকায় প্রতিবাদ মানববন্ধন ও প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান এর নির্দেশ প্রদান করেন।
নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করে আজও জনগণের নায়ক হয়ে আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেতা দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এই আন্দোলন নিয়ে আজ ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে তিনি এভাবে অসন্মানিত হবেন তা সাধারন জনতা থেকে নিসচা কর্মি কেউ কল্পনাও করেনি কখনো। আলোচনা সভা বয়কট করে ইলিয়াস কাঞ্চন সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, বিগত দিনে সাবেক সংসদ সদস্য ও দুই মেয়াদের নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে তাকে।
ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চালিয়ে যেতে নানান সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এক সময়ের শ্রমিকনেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানের রোষানলেও পড়েছেন তিনি। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করতে গিয়ে আমাকে শাজাহান খান গংদের মতো মাফিয়াচক্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমার ছবি টাঙিয়ে তারা জুতা নিক্ষেপ করেছেন। আমার ছবিতে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছেন।’
নতুন সরকার এসেছে কিন্তু চক্রান্ত আজও শেষ হয়নি। তিনি বলেন বিভিন্ন চক্র আমাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছেন। বলা হচ্ছে আমি আওয়ামীলীগ করি। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমি কোন দল করিনা। এরপরও আমাকে বলা হয় আমি ওমুক দল করি তমুক দল করি। তাহলে আমাকে এ্যারেষ্ট করুন। এ্যারেষ্ট করে দেখান আমাকে। দেখি আপনাদের শাহস। ইলিয়াস কাঞ্চন তার প্রতি হওয়া অন্যায় এর বিচার দেশবাসীর কাছে চেয়ে বলেন আপনারাই এর বিচার করুন।